প্রেগনেন্সির সময় সব মেয়েদেরই কম বেশি শারীরিক সমস্যার স্ষ্টি হয়। হরমোনের পরিবর্তনের ফল পড়ে চুলেও। চুল পড়ার সমস্যা, স্পিল্ট এন্ড, চুল অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যাওয়া, সারা শরীরে র্যাশ বেরোনোর মতো নানা সমস্যা দেখা যায়। ত্বক ও চুলের এই পরিবর্তন শুধুমাত্র প্রেগনেন্সির সময় হয়। ডাক্তারি পরিভাষায় একে ফিজিওলজিক্যাল চেঞ্জেস ফর প্রেগনেন্সি বলে। তবে প্রেগনেন্সির শুরু থেকেই যদি ত্বক ও চুলের জন্য প্রপার বিউটি রেজিম মেনে চলেন, তাহলে প্রেগনেন্সির সময় রূপ সংক্রান্ত না না সমস্যার মোকাবিলা সম্ভব।
গর্ভাবস্থায় চুলের বিভিন্ন সমস্যা ও প্রতিকারঃ
এরপর আসি চুলের কথায়। প্রেগনেন্সির সময় হরমোন লেভেল পরিবর্তন শুধু ত্বকের ওপরই প্রভাব ফেলে না, চুলেও নানা সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। গর্ভাবস্তায় ন’মাস, এমনকী ডেলিভারির পরও অনেকের চুল উঠে যায়। চুল অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যাওয়া, চুল পড়া, ড্যামেজড চুলের সমস্যা থেকে বাঁচতে প্রথম থেকেই চুলের যত্ন নিন, এতে সমস্যা অনেকটা কমবে। চুলের যে কোনও সমস্যা কমাতে সবার প্রথমে চুল পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। তাই সপ্তাহে দু’তিনদিন একটু সময় বের করে মাইল্ড অ্যারোমেটিক শ্যাম্পু ব্যবহার করে স্ক্যাল্প ও চুল ভাল করে পরিষ্কার করে নিন। শ্যাম্পু করার পর সব সময় বেশি জল দিয়ে চুল ধোবেন। চুল ভাল রাখতে আরও কয়েকটা জিনিস একটু মাথায় রাখবেন – ভিজে চুল কখনই আঁচড়াবেন না। আধশুকনো হলে আঙুল দিয়ে প্রথমে জট ছাড়িয়ে নিয়ে বড় দাঁড়ার কাঠের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ান।
হট অয়েল মাসাজঃ
সপ্তাহে একদিন বা দু’দিন হট অয়েল মাসাজ করুন। আমন্ড অয়েল মাসাজ করুন। আমন্ড অয়েল বা নারকেল তেল সামান্য গরম করে আঙুলের ডগা দিয়ে স্ক্যাল্পে ও চুলে ভাল করে মাসাজ করুন। তারপর গরম জলে একটা তোয়ালে ভিজিয়ে নিংড়ে মাথায় জড়িয়ে নিন। ৮-১০ মিনিট পর খুলে ফেলুন। ২০ মিনিট অপেক্ষা করে শ্যাম্পু করে নিন। এতে চুল পড়ার সমস্যা কমবে।
চুল পড়ার সমস্যাঃ
প্রেগনেন্সির সময় বেশির ভাগ মহিলারই চুল পড়ার সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করে। এই নিয়ে অনেকেই ব্যতিব্যস্ত হন। মনে রাখবেন, হরমোনের চেঞ্জের জন্য প্রেগ্নেন্সির সময় চুল পড়া কিছুটা স্বাভাবিক। তবে যদি খুব বেশি চুল পড়ে তবে সতর্ক হন। শ্যাম্পু দিয়ে ভাল করে চুল ধয়ে নিন। চা-পাতা জলে ফুটিয়ে লিকার তৈরি করে নিন। ঠান্ডা হলে ছেঁকে এর সঙ্গে পাতিলেবুর রস মেশান। শ্যাম্পু করার পর লেবুর রস মিশান। শ্যাম্পু করার পর লেবুর রস মিশ্রিত চায়ের লিকার দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। নিয়মিত এটা করলে প্রেগনেন্সিকালীন চুল পড়ার সমস্যা কিছুটা হলেও রোধ করা সম্ভব হবে।
ড্যামেজড হেয়ারঃ
টক দই, ডিম, মধু ও সামান্য ক্যাস্টর অয়েল একসঙ্গে মিশিয়ে স্ক্যাল্পে ও চুলে লাগিয়ে নিন। আধঘন্টা পর জল দিয়ে ধুয়ে শ্যাম্পু করে নিন। এই প্যাক চুলে পুষ্টি জোগানোর পাশাপাশি ময়শ্চারাইজড করবে, ফলে আপনার ড্যামেজড হেয়ার হবে হেলদি অ্যান্ড স্ট্রং।
চুল অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যাওয়াঃ
চুল বেশি শুষ্ক হয়ে গেলে একটা পাকা কলা ভাল করে চটাকে নিন। এর সঙ্গে পাঁচ চামচ মধু, দু’চামচ সূর্যমুখী তেল মিশিয়ে স্ক্যাল্পে ও চুলে লাগিয়ে নিন। ইচ্ছে হলে এরসঙ্গে একটা ডিমও মিশিয়ে নিতে পারেন। ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে যদি একদিনও এই প্যাক ব্যবহার করতে পারেন, নিশ্চিত উপকার পাবেন।
বৈশাখী নার্গিস| সোশ্যাল ট্রেন্ডে এখন কী চলছে না চলছে সারাক্ষণ... Read More
জেট যুগে আমরা সবসময় ব্যস্ত। চাকরি বা লেখাপড়ার কারণে বাধ্যতামূলকভাবে...
রোজমেরি নামক গাছের ফুল ও পাতা থেকে রোজমেরি তেল তৈরি...
বিয়ের ২ দিন আগে করা হয় এই গ্লো বুস্টি এবং...
কলার প্যাক একটি পাকা কলার পেস্ট, ১ টেবল চামচ লেবুর...
চটজলদি ত্বকে ঔজ্জ্বল্য আনতে আর স্কিন টোন হালকা করতে একটুকরাে...
আজকাল কমবেশি সবাই মেকআপ করে। তবে এটা ঠিক মেকআপ করতে...
চিরুনি করার সঙ্গে সঙ্গেই উঠে যাচ্ছে চুল। পাতলা হয়ে আসছে...
মুখে দাগ ছােপ থাকলে কারই বা ভালাে লাগে। সবসময় একটা...
চুলে ভলিউম কে না চায়। চুলে শ্যাম্পু না করে চটজলদি...
বছর গড়াক, বয়স নয়। তাই বয়স ঠিক রাখতে মেনে চলুন...