ঘড়িতে বাজে তখন ভোর ৫ টা। মোবাইলে বেজে উঠল এলার্ম। সঙ্গে শুরু গিন্নির ডাকাডাকি। কোনও রকমে ঘুম থেকে উঠে দাঁত মেজে জ্যকেটটা গায়ে চাপিয়ে হাঁটা লাগলাম সমুদ্রের দিকে। কারণ, সূর্যোদয় দেখতে হবে। পৌঁছে দেখি ঠান্ডা হওয়ার সাথে মেঘলা আবহাওয়া। সেই জন্যই নির্ধারিত সময়ের থেকে আজ অনেকটা দেরি করেই উঠল সূর্যিমামা। ততক্ষণে সমুদ্রপারে এসে হাজির একাধিক নৌকা। জাল ভর্তি মাছ সস্তায় কেনার জন্য মানুষের ভিড় আজ ভালোই ছিল। ভোলা, কই, ট্যাংরা, কাঁকড়া, চাঁদি, বেলে মাছের দেখা মিললেও চিংড়ি, পমফ্রেট মাছের দেখা পাওয়া যায়নি।
জীবনের ৩৪টি বসন্তে এই প্রথম পুরীর সমুদ্রে সূর্যোদয় দেখলাম। তাই সকাল থেকেই মনটা বেশ ফুরফুরে। পেটাই পরোটা দিয়ে জলখাবার শেষ করে গিন্নির বিশেষ অনুরোধে অবশেষে রাজি হলাম সমুদ্র স্নানে যাওয়ার জন্য। সকাল ১০টায় নেমে উঠলাম সাড়ে ১২টা নাগাদ। রুমে ফিরে মধ্যাহ্নভোজ সেরেই রওনা হলাম ভারতীয় ধ্রুপদী নৃত্যশিল্পী এবং ওডিশি নৃত্যের জনক কেলু চরণ মহাপাত্রের জন্মস্থান হিসেবে পরিচিত রঘুরাজপুর গ্রামের পথে। পুরীর সমুদ্র তট থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই গ্রামটি সাম্প্রতিক কালে চিক্ট্রশিল্পের জন্যই উঠে এসেছে খবরের শিরোনামে। মূলত পেপার আর্ট, ক্রাফট আর্ট, তাল পাতার তৈল চিত্রের বিপুল সম্ভার রয়েছে এই গ্রামে। ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে হেরিটেজ তকমা পাওয়া এই গ্রামটির ওডিশি নৃত্যের আঁতুরঘর। গ্রামে ঢোকার ঠিক আগেই প্রবেশদ্বারের পাশে একটি ওপেন থিয়েটার স্টেজে নৃত্যশিল্পীদের অনুশীলন দেখার সুযোগ পেলাম। অনুমতি নিয়েই ফ্রেমবন্দি করেছি তাদের নাচের কিছু মুহূর্ত।
আজ ইচ্ছে ছিল বেশ কিছু চেনা ও অচেনা স্পটে যাওয়ার। কিন্তু বছরের শেষ সপ্তাহে সবকটি টুরিস্ট স্পটে ভ্রমন পিপাসুদের ভিড় অস্বাভাবিক ভাবে বাড়তে থাকায় সেই ইচ্ছে পূরণ হল না। শুধু তাই নয়, আমাদের হোটেলের অন্যান্য রুমে থাকা বাঙালি পর্যটকদের কাছে শোনা প্রবেশ মূল্যের টিকিট বিভিন্ন জায়গায় চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। যেমন, কোনারক মন্দিরে প্রবেশের টিকিট সরকারি ভাবে ২০টাকা। কিন্তু সেই লাইন প্রায় দেড় কিলোমিটার। তাই বাধ্য হয়েই অনেকেই দালাল মারফৎ মাথাপিছু ১০০ টাকার বিনিময়ে টিকিট কাটছেন।
* চতুর্থ পর্ব এখানেই শেষ করছি। শেষ পর্বে আপনাদের সাথে ভাহ করে নেব আরও কিছু কাহিনী *
বিশদে জানার জন্য ফলো করুন – Journey With Tanay (Youtube, Facebook and Instagram)
বেড়াতে যাওয়ার সময় মনের মধ্যে একটা আনন্দ কাজ করে। তাই... Read More
রোটাং পাস তবে রাইডিং ও স্নো বাইক রাইডিং-এর ক্ষেত্রে ভাড়া... Read More
উত্তর পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্যকে একসঙ্গে বলে ‘সেভেন সিস্টার’। সেখানকার... Read More
রোটাং সফর হঠাৎ করে দেখলাম আমাদের ড্রাইভারজি ডাকাডাকি করছে, অন্য... Read More
১ম পর্বের পর... মুন্নার কেরলের ইডুক্কি জেলার হিল স্টেশন হল... Read More
রোটাং সফর মানালি পৌঁছানোর রাতেই তুষারপাতের অভিবাদন গ্রহণ করে পরদিন... Read More
শ্রীমা সেন মুখার্জি নতুন জায়গায় এলে দু’চোখ গোগ্রাসে গিলতে থাকে... Read More
চিরকালই বাঙালি তথা সমগ্র ভ্রমণপিপাসু ভারতবাসীর কাছে রাজস্থান হল প্রাণকেন্দ্র।...
পাঁচমাড়ির প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কোনও তুলনা হয় না। মহাভারতের কাহিনি যুক্ত...
অসমের ডিব্ৰু-সাইখােয়া অভয়ারণ্যের সান্নিধ্যে দু’দিন কাটিয়ে চলেছি অরুণাচলের পথে। ডেস্টিনেশন...
নীল আকাশের নীচে পাহাড়ের গায়ে সবুজ চা-বাগিচার টোডা উপজাতির বাসভূমি...
চেন্নাই থেকে ৭৬ কিমি দূরে কাঞ্চিপুরম ও ৬০ কিমি দূরে...
ঘরের কাছে নেপাল ভ্রমণ অজানার আনন্দে মন উদ্বেলিত হয়ে ওঠে...
ঘুরতে পছন্দ করেন না এরকম মানুষ পাওয়া খুব মুশকিল। আর...
ভুপাল শহরের মধ্যে সেই রকম কিছু দেখার বিষয় না থাকলেও...
'ক'-এ কলকাতা থেকে কন্যাকুমারীর মধ্যে কোথাও ক্লাভের অ্য়ানুয়াল মিট হবে...
যেহেতু আমরা বৈজনাথের দিক থেকে আসছি, পালামপুর শহরের ৪...