ওক ফ্রায়েড ভেটকি উইথ গ্রিন চাইভ সস (প্রথম পর্ব)

বেড়াল বলে মাছ খাবো না? এককালে প্রবাদটি মার্জারকুলের সঙ্গে সঙ্গে বাঙালিদের ক্ষেত্রেও সমান ভাবে খাটত। কিন্তু এখন চিত্রটা একেবারে উল্টো।’ইস কী আঁশটে গন্ধ! না, না মাছ খাব না’ – কমবয়সীদের মুখেই এমন বুলি বেশি শোনা যায় প্রায় ঘরে ঘরেই। তবুও কি নিস্তার আছে বঙ্গবাসীর! তাদের কাছে মাছ কি শুধু খাওয়ার পদ? মোটেই না! পুজো আচ্চা থেকে শুরু করে বিয়ে-থা যেকোনও শুভ কাজের সূচনাই মাছ ছাড়া অসম্পূর্ণ। এছাড়াও ডায়েটিশিয়ানদের মতে শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিদিন ডায়েটচার্টে রাখা উচিত মাছ। কারণ এতে আছে প্রোটিন, গুড ফ্যাট, ওমেগা থ্রি-র প্রয়োজনীয় জোগান, যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। তাই অদ্বিতীয়া আপনাদের জন্য না না প্রদেশ থেকে, এমনকী দেশের গণ্ডি টপকেও খুঁজে এনেছে মাছের নানান পদ। সনাতনী কালিয়া, সরষের ঝাল থেকে বেরিয়ে চলুন মাছ নিয়ে করা যাক একটু এক্সপেরিমেন্ট। দেখুন তো মুখে রোচে কি না!

উপকরণঃ

• ভেটকি – ১২০ গ্রাম।
• শা-মরিচ – ২ গ্রাম।
• ডিম – ১টি।
• কর্ন ফ্লাওয়ার – ১০ গ্রাম।
• পেঁয়াজ পাতা (বাটা)- ১০ গ্রাম।
• তেল – ৫ মিলি। রসুন – ২ গ্রাম।
• সেলারি পাতা – ২ গ্রাম।
• ধনে পাতা – ২ গ্রাম।
• টমেটো সস – ১ মিলি।
• কুকিং ওয়াইন – ১ মিলি।
• তিল তেল – ১ মিলি।
• পটেটো স্টার্চ – ৫ গ্রাম।
• চিনি – স্বাদমতো।
• লবন – স্বাদমতো।

প্রণালীঃ

• ভেটকি মাছ ভালো করে ধুয়ে স্লাইস করে রাখুন। তারপর পেঁয়াজ পাতা বাটা, ডিম কর্ন ফ্লাওয়ার, শা-মরিচ, লবন দিয়ে ম্যারিনেট তা করুন।
• ২ থেকে ৩ ঘন্টা পর ম্যারিনেট করা মাছ ভেজে নিন।
• এবার কড়াইতে তেল গরম করে, তাতে রসুন, সেলারি দিয়ে কয়েক সেকেন্ড রান্না করুন।
• তারপর এতে বাকি পেঁয়াজ পাতা বাটা, টমেটো সস, শা-মরিচ দিয়ে নাড়তে থাকুন।
• এবার এই মিশ্রণে আগে থেকে ভেজে রাখা মাছ দিয়ে মাখো মাখো করে রান্না করুন। মিশিয়ে দিন প্রয়োজনীয় নুন, মিষ্টি। ওপর থেকে কুকিং ওয়াইন ও তেল ছড়িয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
• সবশেষে পটেটো স্টার্চ, ধনে পাতা কুচি ছড়িয়ে সার্ভ করুন।