অনেক বাবা মাকে এখন গর্বের সঙ্গে বলতে শোনা যায়, ‘ আমার ছেলে/মেয়ে তো মোবাইলের কোথায় কী থাকে সব জানে। ইউটিউব চালিয়ে কার্টুন দেখতে পারে, এমনকি ছবিও তুলতে পারে’। কিন্তু জানেন কি, এই আপাত গর্ব আপনার সন্তানের গর্ব আপনার সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য মারাত্মক ক্ষতি করছে। বিশদ আলোচনায় মনোবিদ দীপালি লাহিড়ি।
মনোবিদ দীপালি লাহিড়ি বলেন, ‘ কখনও সন্তানের কান্না থামাতে বা কখনও খাবার খাওয়ানোর জন্য, আবার কখনও এমনিই আবদার মেটাতে বাচ্চার হাতে মোবাইল দিয়ে দেওয়া হয়। একইভাবে টিভির সাহায্য নিয়ে থাকেন অবিভাবকেরা। আসলে ছোটো থেকে বিনোদনের এতো জিনিস এখনকার বাচ্চারা হাতের সামনে পেয়ে যায় এবং তাতে এতোটাই অভ্যস্ত হয়ে পড়ে যে, তার থেকে কম স্টিমুলেটিং কোনও জিনিস তাদের আকৃষ্ট করে না। যা মনঃসংযোগে সমস্যা তৈরি করে। দেখবেন কম্পিউটার সংযুক্ত কোনও কাজ তারা সহজে করে ফেলেছে, কিন্তু চাপ পড়ে পড়ার ক্ষেত্রে, বিরাট ফাঁকথেকে যায় সেখানে’।
তাই মনোবিদের কথামতো, শুরু থেকে যত্নবান হোন সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে। তার জন্য অবশ্যই নিজেদের লাইফস্টাইলেও খানিক বদল আনতে হবে।
প্রথমেই মনে রাখবেন, বাচ্চারা যা দেখে তা-ই অনুকরণ করে। তাই নিজেকে বাচ্চার সামনে মোবাইল থেকে দূরে রাখুন। ওকে বোঝান, এটি দূরের মানুষের সঙ্গে কথা বলার মাধ্যম ছাড়া আর কিছু নয়। ভুলেও ওর সামনে মোবাইল গেম খেলা, ভিডিও দেখা বা গান শুনবেন না। খাটের ওপর না বেড সাইড টেবিল – মোদ্দা কথা , বাচ্চা নাগাল পায় এমন কোনও জায়গায় মোবাইল রাখবেন না।
বাচ্চাকে খাওয়ানোর সময় মোবাইল বা টিভি নয়, সাহায্য নিন গল্পের। মুখে মুখে গল্প বলার থেকে ছবি দেওয়া বই নিয়ে গল্প বলুন। এতে বাচ্চার পড়ার অভ্যাস গড়ে। আর ছবিগুলি তাকে মজাও দেবে।
বেডরুমে টিভি রাখবেন না। এতে অবসর সময়ে টিভি দেখতে মন চাইবে। এতে আপনার বাচ্চার টিভি দেখার অভ্যাস হবে। বদলে ছবি আঁকা, পাজেল সলভের মতো গেম দিতে পারেন।
আজকাল টিভিতে অনেক শো হয়, যা বাচ্চাদের চিন্তাভাবনাকে উন্নত করে। যেমন ট্রাভেল বা অ্যানিমেল ওয়ার্ল্ড ইত্যাদি। সেগুলো দেখতে দিতে পারেন। কার্টুনও দেখতে দিতে পারেন, তবে তার জন্য নির্দিষ্ট সময় করে দিন। খেয়াল রাখুন, যাতে বাচ্চার অ্যাডিকশন তৈরি না হয়।
চেষ্টা করুন বিকেলটা বাচ্চাকে নিয়ে বাইরে বার হতে। এতে বাইরের জগতের সঙ্গে ওর পরিচয় বাড়বে।
টেরাবেঁকা, উঁচুনিচু দাঁত নিয়ে হীনম্মান্যতায় ভোগার দিন শেষ। দাঁতের অত্যাধনিক... Read More
শিশুরা খেলাধুলো-হইচই করবে না, এটা ভাবা যায়? সারাদিন ছোটাছুটি করবে,... Read More
শীতে প্রতিদিন বাচ্চাকে ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করান। বেশি গরম জল... Read More
ছোট বাচ্চাদের নিয়ে হামেশাই নাজেহাল হতে হয় বাবা ও মায়েদের।... Read More
চোখের সমস্যা আজকাল অনেকেরই। আর এই জটিলতা খুব কম বয়স... Read More
গ্রাম অথবা শহরের মা-ঠাকুমারা মনে করেন, বাচ্চাদের রোদে রাখাটা খুবই... Read More
স্কুলের পড়াশোনা এখন অনলাইনেই চলছে। টিউশন, গানের ক্লাস সেসবও অনলাইনেই... Read More
বাচ্চার স্বাস্থ্য তাে বটেই, সৌন্দর্যরক্ষার জন্যও দরকার হেলদি ফুড। এদিকে...
বাইরে থেকে এসেই বাচ্চাকে আদর করতে যাবেন না। আগে ফ্রেশ...
অনেক বাচ্চাদেরও স্কিন খানিকটা ডাল হয়। সেক্ষেত্রে এক চামচ চটকানাে...
নিজেকে ঘরবন্দি করে আইসােলেট করবেন না । এ সময় স্ট্রেস...
বাচ্চাকে সরাসরি ফল খেতে দিলে যদি না খেতে চায় তাহলে...
বাচ্চার জুতাে নির্বাচনের ব্যাপারে একটু সচেতন থাকুন। বাচ্চার জুতাের মাপটি...
বর্ষা চলছে জোর কদমে। সঙ্গে চলছে করােনা ভাইরাসের তুমুল তান্ডব।...
বাচ্চাকে সবসময় ডায়াপার পরিয়ে রাখবেন না। বাইরে বেরনাে এবং ঘুমনাের...
শীতে প্রতিদিন বাচ্চাকে ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করান। বেশি গরম জল...
গরমে নিজেদের শরীর ঠিক রাখতেই যেখানে কাবু, সেখানে বাচ্চাদের প্রতি একটু বেশি খেয়াল তো রাখতেই হয়। গরমে শিশুরা তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তাই গরমে শিশুদের যত্ন নেওয়ার জন্য রইল কিছু টিপস- শিশুকে সবসময় সঙ্গে জলের বোতল দিন। গরমে সকলেরই সারাদিন প্রচুর জল খাওয়া উচিত্। বাচ্চারা খেলাধুলো করার কারণে ঘাম বেশি হয় ফলে ওদের জলের প্রয়োজনও হয় বেশি। জল বেশি খেলে শরীরে টক্সিনের মাত্রা কমে শরীর যেমন সুস্থ থাকে, তেমনই রক্ত সঞ্চালন ঠিকঠাক থাকে। আবার পরিশোধিত জল না খেলে এই জল থেকেই রোগ সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে সবথেকে বেশি। বাচ্চাদের টাটকা ফলের রস, ডাবের জল, বাটারমিল্ক বা লেবুর রস রিফ্রেশমেন্ট হিসেবে খেতে দিন। এতে শরীরে জলের সাম্য বজায় থেকে শিশুদের ক্লান্তি দূর হবে। গরমে বাচ্চাকে সবসময় হালকা রঙের জামাকাপড় পরানোর চেষ্টা করুন। হালকা রঙ গরম তাড়াতাড়ি শুষে নিয়ে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। বাচ্চাদের ত্বক নরম ও সংবেদনশীল হওয়ায় গরমকালে র্যাশের সমস্যা দেখা দেয়। তাই খেলতে পাঠানোর সময় চেষ্টা করুন ভাল সানস্ক্রিন লাগিয়ে রোদে পাঠাতে। ভাল এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন শিশুদের ত্বক সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির থেকে রক্ষা করবে। পিজা, পাস্তা, বার্গার থেকে শিশুদের দূরে রাখুন। তার বদলে তরমুজ, শশা জাতীয় ফল, বাড়িতে তৈরি হালকা খাবার খেতে দিন শিশুকে। গরম কালে পোকামাকড়ের কামড়, লালা থেকে অনেক সময় ইনফেকশন হয়। ঘামে বাড়তে পারে সেই ইনফেকশন। তাই বিশেষ করে সন্ধেবেলা ইনসেক্ট রিপেল্যান্ট লাগিয়ে পাঠান। রাতে সবসময় মশারি টাঙিয়ে শোওয়ান। গরমে মশারি টাঙাতে না ইচ্ছা না করলে অবশ্যই মসকিউটো রিপেল্যান্ট লাগিয়ে দিন বাচ্চাকে।