Spread the love

আমাদের দেশের অনেক জায়গাই ভুতুড়ে বলে পরিচিত৷ যেমন রাজস্থানের ভানগড় ফোর্ট, মুম্বইয়ের মুকেশ মিলস বা কার্সিয়ং-এর ডাও হিল৷ সেই সব জায়গায় ভূতের দেখা পেতে রীতিমত গাঁটগচ্চা খরচ করে ভিড় করেন বহু পর্যটক৷ তবে আমাদের এই কোলকাতা শহরেই এমন অনেক জায়গা আছে, যেগুলি ভুতুড়ে হিসেবে রীতিমত পরিচিত। দেখে নেওয়া যাক কলকাতার কোন কোন জায়গায় অশরীরীর খোঁজ পেতে পারেন আপনি৷

আকাশবাণীঃ আকাশবাণীর পুরনো দফতর গারস্টিন প্লেসে বারবার দেখা গিয়েছে অশরীরী আত্মা। ফাঁকা লম্বা করিডর, অজস্র স্টুডিও আর ব্রিটিশ অবকাঠামো মিলিয়ে আকাশবাণীর ভুতুড়ে অস্তিত্ব অস্বীকার করা যায় না। রাত গভীর হলে অনেকেই দেখেছেন সাহেবের ছায়া উবু হয়ে কাজ করছে। আবার কেউ কেউ দেখেন মধ্যরাতে রেকর্ডিং রুমের বারান্দায় কে যেন গান শুনছেন। এখনও নানা স্টুডিও থেকেই রাতে ভেসে আসে যান্ত্রিক সুর। বলা বাহুল্য, সেই যন্ত্রগুলো কোনও মানুষ বাজায় না।

পুতুলবাড়িঃ হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত পুতুলবাড়িও একটি ভৌতিক জায়গা৷ ধনী বাবুদের হাতে দীর্ঘদিন ধরে যৌন অত্যাচারিতা হতেন যে মহিলারা, তাঁদের আত্মা এখনও এই বাড়িতে ঘুরে বেড়ায় বলে অনেকের বিশ্বাস। বিশেষ করে এই বাড়ির ওপরের তলার বদনাম সবচেয়ে বেশি। চুরির রিনিরিনি আওয়াজ, নুপূরের ঝমঝম শব্দ, মিঠে হাসির সুর এখনও কানে বাজে প্রায়শই৷ আশেপাশের বাসিন্দারাও নাকি এই ঘটনার সাক্ষী।

রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো স্টেশনঃ এই স্টেশনেই নাকি আড্ডা বসায় ভূতের দল। একেবারে গোলটেবিল বৈঠক শুরু হয় রাত নামলেই। যাঁরাই শেষ মেট্রায় সওয়ারি হয়ে রবীন্দ্র সরোবর স্টেশনে নেমেছেন, তাঁরা সাক্ষী থেকেছেন ভুতুড়ে কাণ্ডের। রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো স্টেশনে নাকি যাত্রীরা বিভিন্ন ছায়ামূর্তিকে ঘুরতে দেখেছেন। যাত্রীদের ব্যাখ্যা, মেট্রোর লাইনে ঝাঁপ দিয়ে যাঁরা আত্মহত্যা করেন, তাঁদের অশীরীরি আত্মাই সন্ধ্যার পর এই স্টেশনে এসে মিলিত হন৷ শোনা যায়, কলকাতার অন্য মেট্রো স্টেশনগুলির তুলনায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটেছে এখানেই।

জেনারেল পোস্ট অফিসঃ এই বাড়িটিও ভূতুড়ে বলে কুখ্যাত৷ বহু অলৌকিক ঘটনার সাক্ষী থেকেছেন এখানকার কর্মচারীরা৷ অচেনা মানুষের ছায়া, রাতে অপ্রত্যাশিত পায়ের শব্দ,কথা বলার শব্দ,হঠাৎ ঠান্ডা আবহাওয়া ইত্যাদি এখানে নাকি প্রতিনিয়তই অনুভব করা যায়৷

গাস্টিন প্লেসঃ এখনও রাতে পিয়ানোর সুর শোনা যায় গাস্টিন প্লেসের পোড়ো বাড়িটা থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts