jamdani

দোলে ‘মহুয়া’র সুগন্ধে ‘রাঁচি’-র সৌন্দর্য

মহুয়া দত্ত

 

যে কোনও বছর শুরু হতেই ক্যালেন্ডারে সবার আগে চোখ যায় চাকুরীজীদের। কারণ খুব সহজ। ক্যালেন্ডার ছুটিগুলো সপ্তাহের কোন বারে পড়েছে তা দেখে নেওয়া। সেই ছুটি যদি কোনওভাবে নিজের সপ্তাহের ছুটির দিনে পড়ে যায়, তাহলেই মন খারাপ। আবার যাঁদের শনি-রবিবার ছুটি, আর বৃহস্পতি-শুক্রবার বা সোম অথবা মঙ্গলবারে সরকারি ছুটি পড়ে, তাহলে আনন্দের শেষ থাকে না। একদিনের ছুটি ম্যানেজ করলেই কেল্লা-ফতে। জানুয়ারি মাসেই হিসেব কষা শুরু হয় কোথায় যাওয়া যায় তার।

এই বছর শনি-রবিবার ছুটি যাঁদের, তাঁদের কাছে সুবর্ণ সুযোগ। এবারের দোল পুর্ণিমা পড়েছে মঙ্গলবারে। অর্থাৎ শুক্রবার রাতে বা শনিবার সকালে ব্যাগ-প্যাক করে বেরিয়ে পড়ুন একটু মুক্ত বাতাসের খোঁজে। ইতিমধ্যেই অনেকে তৈরি ঘুরতে যাওয়ার জন্য। আর যাঁরা যাব যাব ভেবেও টিকিট কাটতে পারেননি, তাঁদের জন্য রইল পড়শি রাজ্যে একটু জিরিয়ে আসার খোঁজ।

জায়গার নাম ‘রাঁচি’। নিজস্ব গাড়ি, বিমান কিংবা তৎকালে ট্রেনের টিকিট কেটে বেড়িয়ে পড়ুন। হাতে সময় কম। তাই ট্যুর প্ল্যানে রাখুন রাঁচি-র আশেপাশের জায়গা। তালিকায় রাখতে পারেন ‘বেতলা’-র জঙ্গল। নইলে ‘নেতার হাট’ অথবা ‘রাজাপ্পা’ মন্দির।

‘রাঁচি’ ট্যুর প্ল্যানে কী কী দেখবেনঃ

গন্তব্যে পৌঁছে হোটেলে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিন। ‘রাজাপ্পা’ যদি ট্যুর প্ল্যানে থাকে তাহলে আগে মন্দিরে গিয়ে পুজো দিন। সন্ধেবেলা রাঁচি শহর ঘুরে বিশ্রাম নিন। কারণ পরের দিন গাড়ি নিয়ে গন্তব্য ‘হুড্রু ফলস’। প্রায় ৭০০-এর বেশি সিঁড়ি ভেঙে নীচে নামতে হয় এই ফলস অবধি পৌঁছতে। এখানে অনেকটা সময় লাগে। এরপর ‘জোনা ফলস’, ‘সীতা ফলস’, ‘দশম ফলস’, ‘রক গার্ডেন’, ‘বিরসা জুয়োলজিকাল পার্ক’ রয়েছে দেখার জন্য। নিজেদের হাতের সময় বুঝে ঘুরে দেখুন এই জায়গাগুলো।

‘নেতার হাট’ কিংবা ‘বেতলা’

ছুটি অনুযায়ী পরের গন্তব্য ‘বেতলা’ ফরেস্ট কিংবা  ‘নেতার হাট’। বেতলায় গেলে জঙ্গলের ভিতর সরকারি গেস্ট হাউজে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। জঙ্গলে রাত্রিবাস করার আলাদাই আনন্দ। আর এই সময় ‘মহুয়া’ ফুল হয়। এর সুবাসে মাতাল হতে চাইলে হতেই পারেন!

আর যদি গন্তব্য হয় ‘নেতার হাট’, তাহলে পেয়ে যাবেন মনোরম পরিবেশ। এখানকার ‘মাগনোলিয়া পয়েন্ট’ থেকে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখা যায়, যা প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্র। রয়েছে ‘আপার’ ও ‘লোয়ার’ ‘ঘাগরি’ ফলস। এবারের দোল প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে ‘মহুয়া’র রসে কাটিয়ে ফেরার পালা। মন না চাইলেও ফিরতে হবে। তবে আবার আসার ইচ্ছে নিয়ে ফেরা নিজ শহরে।

কোথায় থাকবেন

‘রাঁচি’তে অনেক ছোট-বড় থাকার জায়গা রয়েছে। বেতলাতে জঙ্গলের ভিতরে না থাকতে পারলেও, বাইরে অনেক জায়গা রয়েছে থাকার জন্য। নেতার হাটেও একই রকম অনেক থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।

ব্যাগ-প্যাক টিপস

বেতলার জঙ্গল ছাড়া সর্বত্র সব ধরনের ওষুধ পাওয়া যায়। তাও নিয়মিত ওষুধের পাশাপাশি জ্বর, পেটব্যথা, বমি, এলার্জির ওষুধ সঙ্গে রাখুন।

 

 

Trending

Most Popular


Would you like to receive notifications on latest updates? No Yes