jamdani

দোল স্পেশাল । দোলের ছুটিতে পা রাখুন পাহাড়ে

তানিয়া চক্রবর্তী

গল্পের গরু যেমন গাছে ওঠে, ঠিক একই ভাবে মন চায় এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে যেতে। কখনও পাহাড় থেকে জঙ্গল, কখনও আবার সমুদ্র। কিন্তু ঐ কল্পনাই সার। একদিকে কাজের চাপ, তার উপর নানা রকমের টেনশন, সব মিলিয়ে নিজের জন্য সময় বের করাই মুশকিল হয়ে পরে বেশিরভাগ মানুষের। তবে তাই বলে কী কিছুটা হলেও নিজের জন্য সময় বের করবে না তাঁরা? নিশ্চয়ই করবেন। হাতের সামনে কম সময়ে ঘুরতে যাওয়ার হদিশ থাকলে কে ঘুরতে চায় না বলতে পারেন? তাই সামনেই দোল উৎসব, আর এই উৎসবের ছুটিকে কাজে লাগিয়েই ঘুরে আসুন ‘কিরিবুরু-মেঘাতাবুরু-সারান্ডাতে’।

পাহাড়, শালের জঙ্গল আর অসংখ্য ছোট বড় ঝর্ণা দিয়ে সাজানো ‘কিরিবুরু-মেঘাতাবুরু-সারান্ডা’। যার দূরত্ব কলকাতা থেকে মাত্র ছয় ঘণ্টার। ওড়িশা আর ঝাড়খণ্ডের সীমান্ত এলাকায় লালমাটির এক অদেখা জায়গা এটি। দুই থেকে তিন দিনের ছুটি কাটানোর জন্য আপনার কাছে হতেই পারে এটি একটি আদর্শ ঘোরার জায়গা।

কিরিবুরু-মেঘাতুবুরু-তে পৌঁছে কী কী দেখবেন?

  • কিরিবুরুর ভিউ পয়েন্টের আশপাশের গোটা উপত্যকা জুড়ে সবুজের রাজত্ব। যার মনোরম সৌন্দর্য আপনাকে মুদ্ধ করবেই। এক কথায় বলতে গেলে, কিরিবুরুর ভিউ পয়েন্টের আশপাশে রয়েছে প্যানোরামিক ভিউ। এছাড়া রয়েছে ‘সারান্ডা জঙ্গল’। কিরিবুরু থেকে মাত্র ৫৪ কিলোমিটার দূরে, একেবারে নিঝুম ও শান্ত। চাইলে ‘জিন্দাল শিব মন্দির’ দর্শন করে নিতে পারেন।
  • তবে মেঘাতুবুরুতে দিনের যেকোনও সময় ঘুরতে যাবেন না। সূর্যাস্তের সময় চেনা মেঘাতুবুরু সেজে ওঠ্রে অন্য রূপে। আর সেই রূপ দর্শন যেন এক স্বর্গীয় অনুভূতি এমনই মত ভ্রমণার্থী থেকে শুরু করে সেখানকার বাসিন্দাদের।
  • তবে দুই রাত্রি তিন দিনের জন্য যদি ঘুড়তে যান, তাহলে তখন আপনার সফর সূচিতে থাকবে ‘জটেশ্বরের জঙ্গল’, ‘জটেশ্বর গুহা মন্দির’, ‘জটেশ্বর লেক’, ‘মৃগোশিঙা গ্রামের বৈতরণী নদী’, ‘মুরগা মহাদেব মন্দির’, ‘মুরগা মহাদেব ওয়াটার ফলস’, ‘ঝিকিরা ওয়াটার ফলস’, ‘কারো রিভার বেড’, ‘সারণ্ডা ফরেস্ট’, ‘স্বপ্নেশ্বর শিবমন্দির’, আর ‘সাতশ পাহাড়ের দেশ মেঘাতুবুরু’।
  • আর হাতে যদি একটু বেশি সময় থাকে তাহলে সফর সূচিতে যোগ করুন ‘সারাণ্ডা ফরেস্ট’ (থলকোবাদ ডিভিশন), ‘লিগিরতা ওয়াটার ফলস’ এবং ‘ওপেন আয়রন মাইন’। যদি সরকারি নির্দেশ মতে ‘থলকোবাদ’-এর প্রবেশ বন্ধ থাকে তখন ‘কেওনঝড়ের’ দুটি অনন্য সুন্দর জলপ্রপাত সান ‘ঘাগড়া’ এবং ‘বড়া ঘাগড়া’ আর ‘বড়া ঘাগড়া আপার ড্যামে’ ঘুরে আসতেই পারেন।

কীভাবে যাবেন?

কলকাতা থেকে ‘কিরিবুরু-মেঘাতুবুরুর’ দূরত্ব প্রায় চারশো কিলোমিটার। হাওড়া থেকে টাটানগরের যেকোনও ট্রেন ধরতে হবে। তারপর সেখান থেকে ‘কিরিবুরু’ যাওয়ার বাস পেয়ে যাবেন। আর গাড়িতে যেতে গেলে জিপিএস অন করে নিতে পারেন। পথের শোভা দেখতে দেখতে দিব্যি পৌঁছে যাবেন গন্তব্যে। সারা বছরই ঝাড়খণ্ডের এই জোড়া পাহাড়ের দেশে যাওয়া যায়। কারণ এখানকার আবহাওয়া সবসময়ই মনোরম থাকে। কোথায় থাকবেন, তা একেবারেই আপনার ব্যক্তিগত পছন্দ। একাধিক গেস্ট হাউস রয়েছে। খুঁজলে পেয়ে যাবেন রিসর্টও।

ঘুরতে গিয়ে কী কী জিনিস সঙ্গে রাখবেনঃ

ওষুধঃ আপনি যে ওষুধগুলো রোজ খান, সেগুলো তো রাখবেনই পাশাপাশি জ্বর, মাথা যন্ত্রণা, বেনডেড, গায়ে-হাত-পায়ে যন্ত্রণা, পেট খারাপ ও গ্যাস-অম্বল নির্মূলের ওষুধও রাখুন সঙ্গে।

গুরুত্বপূর্ণ নথি পত্রঃ নিজেদের পরিচয়পত্র নিতে ভুলবেন না। প্রয়োজনে সব নথিপত্রের ‘ফটোকপি’ করিয়ে রাখবেন। যদি হাসপাতাল সংক্রান্ত কোনও স্বাস্থ্যবীমা থাকে, তা-ও সঙ্গে রাখবেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Trending

Most Popular


Would you like to receive notifications on latest updates? No Yes