jamdani

দোল স্পেশাল।। দোলের দিন আজব দুর্গোৎসব!

দোলের দিন রাধা-গোবিন্দের পুজোর রীতি প্রায় সর্বত্রই লক্ষ্য করা যায়, কিন্তু দুর্গাপুজো! হ্যাঁ, দোল উৎসবের দিন দুর্গোৎসব পালন করা হয় হুগলির শ্রীরামপুরের পঞ্চাননতলায় দে পরিবারে। যদিও দোল উৎসবের দিন থেকে দুর্গাপুজোর ব্যবধান অনেকটা। তবুও সাড়ম্বরে দুর্গাপুজোর যাবতীয় প্রথা মেনে চারদিন ধরে চলে এই উৎসব। দে পরিবারের নগেন্দ্রনাথ দে ও পুলিন বিহারী দে এই মহিষাসুরমর্দিনী পূজার প্রচলন করেন। পরবর্তীকালে তা সর্বজনীন পুজোর রূপ নেয়।

বসন্তের আগমনে দেবীর বোধন নতুন নয়। ইতিহাসের পাতা উল্টালে জানা যায় বেশ প্রীচান এই উৎসব। প্রায় ২১৯ বছরের এই পুজোর আয়োজন করা হয় শ্রীরামপুরের টাউন ক্লাবে। বর্তমানে এই পুজো দে বাড়ির পাশাপাশি শ্রীরামপুরের সাধারণ মানুষেরও পুজো হয়ে উঠেছে।

দোল উৎসবের দিন দেবীর বোধন হয়, তারপর হয় ষষ্ঠী এবং সপ্তমীর পুজো। প্রথা অনুযায়ী মায়ের পায়ে আবির দিয়ে শ্রীরামপুরবাসী্রা মেতে ওঠেন দোল খেলায়। সুগন্ধি আবির, নানা রঙের রঙ, ফুল দিয়ে দোল উৎসব পালন করা হয় এদিন।

দোলের পরের দিন হয় অষ্টমী। এদিন পুজো প্রাঙ্গণে মায়ের ভোগ বিতরণ করা হয়, কোনও বাড়িতেই এদিন রান্না হয় না। অষ্টমীর পরের দিন অর্থাৎ নবমীতে বলি দেওয়ার রেওয়াজ থাকলেও বর্তমানে বলি প্রথা নিসিদ্ধ হওয়ার কারণে তা এখন আর হয় না। তবে বলির বদলে নবমীতে পুজোর ভোগে দেওয়া হয় মাছ। দশমীতে মহিলারা দেবীবরণ মাধ্যমে মেতে ওঠে সিঁদুর খেলায় এবং সবশেষে রাতে শোভাযাত্রা বের হয় বিসর্জন দেওয়া হয় দেবীর প্রতিমার।

তানিয়া চক্রবর্তী

 

 

 

 

 

 

Trending

Most Popular


Would you like to receive notifications on latest updates? No Yes