ত্বক আর চুল বাঁচাতে আমরা সবাই মোটামুটি চেষ্টা করি অরগ্যানিক রং ব্যবহার করে দোল খেলার। কিন্তু বাজার থেকে কেনা রং যে কতটা নিরাপদ তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। তবে চিন্তা নেই, আপনি চাইলে রান্নাঘরের সামগ্রী দিয়েই বানিয়ে নিতে পারেন আবির আর জল রং। রইল তারই টুকিটাকি টিপস্-

শুকনো রং তৈরির পদ্ধতি
- লাল- রক্তচন্দনের গুঁড়ো আর ময়দা মিশিয়ে নিন ১:১ অনুপাতে। জবা বা পলাশের গুঁড়ো আর ময়দাও এই একই অনুপাতে মেশালে পাবেন লাল রং। যদি মনে হয় যে রংটা আরও একটু গাঢ় হওয়া দরকার, তা হলে ময়দার পরিমাণ কমান।
- হলুদ- বেসন আর হলুদ গুঁড়ো মেশান ২:১ অনুপাতে।
- সবুজ- মেহেন্দির পাতা আর ময়দা মেশান ১:১ অনুপাতে।
- নীল- নীলের গুঁড়ো আর ময়দা মেশান ১:৩ অনুপাতে। অপরাজিতা ফুলের পাপড়ি দিয়ে রং তৈরি করতে চাইলে ময়দা আর ফুলের গুঁড়োর পরিমাণ হবে ১:১।
- খয়েরি- আমলকী, হেনার পাউডার আর হলুদগুঁড়ো মেশাতে হবে ১:১:১ অনুপাতে।

জল রং তৈরির পদ্ধতি
- লাল- বিট কেটে নিন ছোট ছোট টুকরোয়। তার পর সেটা জলে সেদ্ধ করতে বসান। যখনই মনে হবে যে আপনার মনের মতো শেড পেয়ে গিয়েছেন, নামিয়ে নিন। দরকারে আরও জল মিশিয়ে রং পাতলা করে নেওয়া যায়। বেদানার রস আর জল মিশিয়ে ফুটিয়ে নিলেই চমৎকার লাল শেড তৈরি হবে। পলাশ/ জবা ফুল জলে ফোটালেও লাল রং তৈরি হবে। জলের পরিমাণ বাড়িয়ে বা কমিয়ে তৈরি করুন পছন্দের শেড।
- হলুদ- বেদানার খোসা সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন জলে, পরদিন সেটা ছেঁকে নিন। কাঁচা হলুদ জলে ফুটিয়ে নিলেও দারুণ সুন্দর হলুদ রং তৈরি করা সম্ভব। গাঁদা ফুল জলে ফুটিয়ে নিন ভালো করে, জলের রং হলুদ হয়ে গেলে আঁচ থেকে সরিয়ে নিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে ছেঁকে নিতে হবে।
- সবুজ- পালং শাক কুচিয়ে নিয়ে জলে ফোটান। পছন্দমতো সবুজের শেড পেলে নামিয়ে নিন। জলটা ঠান্ডা হয়ে গেলে ছেঁকে নেবেন।
- কমলা- মেহেন্দির গুঁড়ো বা পাতা জলে ফোটাতে আরম্ভ করুন। কিছুক্ষণের মধ্যেই কমলা রং ধরে যাবে। তখন গ্যাস অফ করে রেখে দিন। জল ঠান্ডা হলে ছেঁকে নেবেন।