কোনো বড়ো কাজ পাঠিয়ে দিতে আমাদের ২ থেকে ৩ সেকেন্ড লাগে এখন আমাদের। সে চিঠি-পত্র হোক বা দরকারী কোনো ফাইল। আমরা সেটা পাঠিয়ে দিই এখন মেইল মারফত। যাকে আমরা ই-মেইল বলে জানি। কিন্তু জানেন কি, এই মেইল পাঠাতেই এক ঘন্টা সময় লেগে গিয়েছিল। আর কোনও বড়ো মেসেজ বা চিঠিও নয়। সেটাও শুধুমাত্র একটি শব্দের। যা পাঠাতেই কিনা কম্পিউটার শাট ডাউন হয়ে গেল। একটি শব্দও পুরোপুরি পাঠাতে পারল না কম্পিউটার। পৌছাল কেবল ২টি বর্ণ। ‘এল’ এবং ‘ও’।
এখনকার দিনে আমরা এসব ভাবতেও পারি না। প্রতিদিন আমাদের লক্ষ লক্ষ তথ্য পাঠাতে হয় পৃথিবীর এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। আর এই গোটা বিষয়টি ধরে রেখেছে ইন্টারনেট। সেখানে সামান্য একটু গন্ডগোল মাঝেসাঝেই দেখা গেলেও, বড়ো ধরণের সমস্যা হয় না। তবে যে সময়ের কথা বলছি, সেই সময় ইন্টারনেট বলে কোনও বস্তু ছিল না। সালটা হল ১৯৬৯। দিন ২৯ অক্টোবর।
তবে ইন্টারনেটের ব্যবস্থা সে সময় না থাকলেও বিভিন্ন জায়গার কম্পিউটারে জমে থাকা তথ্য এক জায়গায় রাখার ব্যবস্থা তৈরি হয়ে গিয়েছিল। সেই ব্যবস্থার নাম আরপানেট। আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগের সঙ্গে জড়িত ৪টি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছিল এই ব্যবস্থা। একটি ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া লস অ্যাঞ্জেলস ক্যাম্পাস। আর বাকিগুলি ছিল ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা বারবারা ক্যাম্পাস, স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং উটাহ ইউনিভার্সিটি। এর মধ্যে লস অ্যাঞ্জেলস ক্যাম্পাসেই কম্পিউটার সংক্রান্ত সবচেয়ে বেশি গবেষণার কাজ চলত। সেখানেই লিওনার্দো ক্লেইনরক এবং চার্লি ক্লাইন নামে দুই গবেষক চেষ্টা করেছিলেন এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে তথ্য পাঠানোর। সফলও হয়েছিলেন সেই প্রচেষ্টায়।
সেটি ছিল আংশিক সাফল্য। দুটি বর্ণও তো পাঠানো সম্ভব হয়েছিল। সেই আংশিক সাফল্যের মধ্যে দিয়েই ই-মেইলের যাত্রাপথ শুরু হয়েছিল। অবশ্য পুরোপুরি সাফল্য পেতে বেশিদিন লাগেনি। মাত্র ২ বছরের মধ্যেই তা সম্ভব করে দেখালেন ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির গবেষক রে টমলিনসন। তাঁকেই সেই অর্থে ই-মেইলের জনক বলতে হয়।
টমলিনসন আরপানেটের সঙ্গে আরও দুটি প্রোগ্রাম জুড়ে নিলেন। এর মধ্যে একটি প্রোগ্রামের নাম দিলেন ‘সেন্ট মেসেজ’, আর অন্যটির নাম দিলেন ‘রিড মেইল’। বলা বাহুল্য, যে কম্পিউটার থেকে মেইল পাঠানো হবে সেখানে কাজ করবে সেন্ট মেসেজ প্রোগ্রাম। আর যে কম্পিউটারে সেই মেইল পড়া হবে, সেখানে কাজ করবে রিড মেইল প্রোগ্রাম। এখনও মেইল বিনিময়ের ক্ষেত্রে এই দুই প্রোগ্রামই ব্যবহার করা হয়। এখনকার দিনে সেই প্রোগ্রাম কিন্তু অনেক উন্নত। এছাড়াও আর একটি কম্যান্ড ব্যবহার করেছিলেন টমলিনসন। যা হল আমাদের অতি পরিচিত চিহ্ন ‘@’। এভাবেই আমরা পেলাম ই-মেইল করার সুত্রপাত। আর বিশ্বজুড়ে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই পাঠাতেও পারছি গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য।
সন্দীপ মুখোপাধ্যায় - “নাম কী? থাকো কোথায়? কোন ক্লাস অবধি... Read More
লিপস্টিক আমার কাছে লিপস্টিক নয়। লিপস্টিক আমার কাছে প্রতীক। রং...
আমরা সবাই জানি যে ত্রিদেব বলতে ব্রহ্মাণ্ডের তিন প্রধান স্তম্ভকে...
নাতাশা স্নান সেরে এসছে। সারাটা ঘরই এখন গন্ধস্নান করছে। একই...
পুলিশের উর্দিটা তখনও গা থেকে খুলিনি, সুসময়ী বলল, “তােমার জন্য...
শাে তখন জমে উঠেছে। শীতের সন্ধে। গায়ে ছিল হালকা জ্যাকেট।...
রিশপের ছবিগুলাে সব ফেসবুকে আপলােড করার পর কম্পিউটারের সামনে থেকে...
চা আর প্রজাপতি বিস্কুট। খাবার মধ্যে এই। কিন্তু কথা ছিল...
সকাল বেলাটা আজকাল বিজনের বেশ সমস্যার। থিতু হয়ে প্রভাত উপভােগ...
লােকে ‘ব্যোমকেশ’ নামে ডাকেন। নতুন নামকরণ হয়েছে ‘সােনা দা। এদিকে...
আজও এই শহরের সরু অলি-গলি তাকে নস্ট্যালজিক করে তােলে। তাই...