২৫ ডিসেম্বর, ক্রিসমাস। অর্থাৎ বড়দিন। পার্কস্ট্রিট সহ শহর কলকাতার বেশ কিছু অংশ সেজে উঠেছে আলোয় আলোয়। আর বাঙালির কাছে ক্রিসমাসের অন্য মানে রয়েছে। এই সময় সাহেব হয়ে ওঠার শখ হয়ে ওঠে অনেক বাঙালির। খাওয়া, দাওয়া, সেলিব্রেশন, আদব কায়দা সব কিছুই যেন বাঙালির বছর শেষের সাহেব। তবে ক্রিসমাস কীভাবে শুরু হল? কবে থেকে চলছে এই সেলিব্রেশন? জানেন কি, চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক।
বড়দিন বা ক্রিসমাস একটি বাৎসরিক খ্রিস্টীয় উৎসব। ২৫ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে এই উৎসব পালিত হয়। এই দিনটিই যিশুর প্রকৃত জন্মদিন কিনা তা জানা যায় না। প্রাচীন খ্রিস্টানদের বিশ্বাস অনুসারে, এই তারিখের ঠিক ৯ মাস পূর্বে মা মেরির গর্ভে প্রবেশ করেন যিশু। সম্ভবত, এই হিসাব মতেই ২৫ ডিসেম্বর তারিখটিকে যিশুর জন্মতারিখ ধরা হয়।
অন্যদিকে এটি একটি ঐতিহাসিক রোমান উৎসব। অথবা উত্তর গোলার্ধের দক্ষিণ অয়নান্ত দিবসের অনুষঙ্গেই ২৫ ডিসেম্বরে যিশুর জন্মজয়ন্তী পালনের প্রথাটির শুরু হয়।
তবে খ্রিষ্টানদের বিশ্বাস অনুযায়ী, আদি বাইবেলর ত্রাণকর্তা-সংক্রান্ত একাধিক ভবিষ্যৎবাণীতে বলা হয়েছে যে কুমারী মেরির গর্ভে তাঁদের মসিহা বা ত্রাণকর্তার জন্ম হবে। নতুন নিয়ম বা নতুন বাইবেলের মথিলিখিত সুসমাচার এবং লূকলিখিত সুসমাচার -এ বর্ণিত যিশুর জন্মকাহিনী বড়দিনের উৎসবের মূল ভিত্তি। স্বামী জোসেফের সাহচর্যে বেথলেহেম শহরে উপস্থিত হয়ে মেরি যিশুর জন্ম দেন। যিশুর জন্মের সবচেয়ে জনপ্রিয় মত হল, একটি আস্তাবলে গবাদি পশু পরিবৃত অবস্থায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন যিশু।
মথিলিখিত সুসমাচার অনুসারে, কয়েকজন ম্যাজাই সোনা, গন্ধ তৈল ও ধূপ নিয়ে শিশুটিকে দর্শন করতে যান। কথিত আছে, একটি রহস্যময় তারা তাঁদের পথ দেখিয়ে নিয়ে যায়। বেথলেহেমের তারা নামে পরিচিত এই তারাটি ছিল প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে ইহুদিদের রাজার জন্মবার্তার ঘোষক। ম্যাজাইদের আগমনের স্মরণে পালিত হয় ৬ জানুয়ারির এপিফেনি উৎসব। কোনও কোনও চার্চে এই ৬ জানুয়ারিতেই আনুষ্ঠানিকভাবে বড়দিন উৎসব সমাপ্ত হয়।
বড়দিনের পূর্বে যিশুর জন্মোৎসব উপলক্ষে ইস্টার্ন অর্থোডক্স চার্চ নেটিভিটি উপবাস পালন করে থাকে। অন্যদিকে পাশ্চাত্য খ্রিষ্টধর্মে অধিকাংশ চার্চে অ্যাডভেন্ট পালন করা হয়। বড়দিনের সর্বশেষ প্রস্তুতিটি নেওয়া হয় বড়দিনের আগের দিন সন্ধ্যায়।
বিশ্বের অধিকাংশ রাষ্ট্রেই বড়দিন একটি প্রধান উৎসব হিসেবে পালিত হয়। অধিকাংশ দেশে প্রতি বছর বড়দিন পালিত হয় ২৫ ডিসেম্বর।তবে রাশিয়া, জর্জিয়া, মিশর, আর্মেনিয়া, ইউক্রেন ও সার্বিয়ার মতো কয়েকটি ইস্টার্ন ন্যাশানাল চার্চ ৭ জানুয়ারি তারিখে বড়দিন পালন করে থাকে। কারণঐতিহ্যশালী জুলিয়ান ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে থাকেন তারা, জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের ২৫ ডিসেম্বর প্রামাণ্য জর্জিয়ান ক্যালেন্ডারে ৭ জানুয়ারিতে পড়ে।
সন্দীপ মুখোপাধ্যায় - “নাম কী? থাকো কোথায়? কোন ক্লাস অবধি... Read More
লিপস্টিক আমার কাছে লিপস্টিক নয়। লিপস্টিক আমার কাছে প্রতীক। রং...
আমরা সবাই জানি যে ত্রিদেব বলতে ব্রহ্মাণ্ডের তিন প্রধান স্তম্ভকে...
নাতাশা স্নান সেরে এসছে। সারাটা ঘরই এখন গন্ধস্নান করছে। একই...
পুলিশের উর্দিটা তখনও গা থেকে খুলিনি, সুসময়ী বলল, “তােমার জন্য...
শাে তখন জমে উঠেছে। শীতের সন্ধে। গায়ে ছিল হালকা জ্যাকেট।...
চা আর প্রজাপতি বিস্কুট। খাবার মধ্যে এই। কিন্তু কথা ছিল...
রিশপের ছবিগুলাে সব ফেসবুকে আপলােড করার পর কম্পিউটারের সামনে থেকে...
সকাল বেলাটা আজকাল বিজনের বেশ সমস্যার। থিতু হয়ে প্রভাত উপভােগ...
লােকে ‘ব্যোমকেশ’ নামে ডাকেন। নতুন নামকরণ হয়েছে ‘সােনা দা। এদিকে...
আজও এই শহরের সরু অলি-গলি তাকে নস্ট্যালজিক করে তােলে। তাই...