jamdani

হবু কনের ত্বকের পরিচর্যায় বিউটি অয়েল

গায়ে মাখার তেল আর মুখে মাখার ক্রিম- এই সহজ পার্থক্যের মাঝের দাগটা এখন অনেকটাই মলিন। মুখের সেনসিটিভ ত্বকের কেয়ারে ফেসিয়াল অয়েলের যথাযথ ব্যবহার হয়ে উঠতে পারে ‘দি রিয়েল গেম চেঞ্জার’। তাই হবু বউয়ের স্কিন কেয়ারে যোগ হোক ফেসিয়াল অয়েল, তবে সঠিক নিয়ম মেনে।

ফেসিয়াল অয়েল তিন রকমভাবে ত্বকের উপকার করেঃ

  • ত্বকে এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড, মিনারেল এবং অন্যান্য নিউট্রিয়েন্টস যোগায়। এতে ত্বক হয়ে ওঠে উজ্জ্বল এবং যৌবনদীপ্ত।
  • তেলের হাইড্রেটিং এফেক্ট ত্বককে গভীরভাবে ময়েশ্চারাইজ করে, ত্বক রাখে নরম ও তরতাজা।
  • তেল ত্বকের উপর একটি ন্যাচারাল ব্যাকটেরিয়ার জন্ম দেয়, যা ত্বককে প্রাকৃতিক দূষণ এবং অন্যান্য ক্ষতিকর এলিমেন্ট থেকে রক্ষা করে।
  • ফেসিয়াল অয়েলের হাইড্রেটিং এবং নারিশিং প্রপার্টি ত্বকের ড্যামেজ রিপেয়ার করতে খুবই এফেক্টিভ। বিশেষজ্ঞদের মতে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা- যেমন, অ্যাকনে, অসমান স্কিন টোন, শুষ্কতা, অকালবার্ধক্য ইত্যাদি সমাধানেও ফেসিয়াল অয়েল যথেষ্ট কার্যকরী।
  • মুখের ত্বক স্বাভাবিকভাবেই বেশি সেনসিটিভ আর তাই ফেসিয়াল অয়েল বাছতে হবে স্কিন টাইপ এবং স্কিনের প্রয়োজন মাথায় রেখে।

কোন বিউটি অয়েল কীভাবে ব্যবহার করবেন এবং ত্বক অনুযায়ী কোনটি ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন, তাই নিয়ে রইল বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ।

রোজহিপ অয়েলঃ

এই বিউটি অয়েলটি রিজেনারেটিভ প্রপার্টির জন্য সুপ্রসিদ্ধ। ত্বকের দাগ-ছোপ, প্রি-ম্যাচিওর এজিং-এর লক্ষণ নিরাময়ে এই অয়েল বিশেষ কার্যকরী। উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন-এ ও ভিটামিন-সি ছাড়াও রোজহিপ অয়েলে রয়েছে এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড। যা যৌবনদীপ্ত ত্বকের জন্য অপরিহার্য।

এই তেল ব্যবহার করুন রোজ রাতে শোওয়ার আগে।

গ্রেপসিড অয়েলঃ

গ্রেপসিড তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৬ এবং অন্যান্য ফ্যাটি অ্যাসিড। এই বিশেষ ফেসিয়াল অয়েলটি সুপরিচিত এর ন্যাচারাল সান প্রটেকশন প্রপার্টির জন্যও।

এই তেল মাখা যেতে পারে সকালে, সানস্ক্রিন ব্যবহারের আগে। এটি ভীষণ ভালো মেকআপ বেসেরও কাজ করে।

হেম্প সিড অয়েলঃ

অ্যাকনে প্রোন স্কিনের যত্নে ব্যবহার করুন হেম্প সিড অয়েল। এই তেলের কমেডোজেনিক রেটিং শূন্য! তাই এই বিউটি অয়েল থেকে কখনওই অ্যাকনে বা পিম্পলের সমস্যা হওয়ার সম্ভবনা নেই। এতে রয়েছে ৮০ শতাংশ এসেনশিয়াল ফ্যাট ছাড়াও যথাযথ অনুপাতে ওমেগা ৩ এবং ৬ রকমের ফ্যাটি অ্যাসিড। যা ত্বককে নরম, গ্লোয়িং এবং হেলদি রাখে।

এই অয়েল ব্যবহার করতে হবে প্রতিদিন সকালে এবং বিকেলে।

মরিঙ্গা অয়েলঃ

এই তেল অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের প্রাকৃতিক স্টোর হাউস। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ এবং ভিটামিন-সি, যা ত্বককে ফ্রি র‍্যাডিক্যালস এবং পলিউশন থেকে রক্ষা করে। মরিঙ্গা অয়েল ত্বকে আনে দ্রুত ব্রাইটেনিং এফেক্ট।

দিনের যেকোনও সময়েই এই তেল ব্যবহার করা যায়।

কীভাবে ব্যবহার করবেন ফেসিয়াল অয়েলঃ

  • প্রথমে ক্লিনজিং ও তার পরে ফেসওয়াস দিয়ে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করে নিন।
  • ৫-৬ ফোঁটা তেল পরিষ্কার হাতে নিয়ে, হাল্কাভাবে পুরো মুখে এবং গলায় মাসাজ করুন ৫ মিনিট।
  • আপনার নিত্য ব্যবহারের ক্রিমের সঙ্গেও মেশাতে পারেন কয়েক ফোঁটা ফেসিয়াল অয়েল। এতে আরও ভালো ফল পাওয়া যাবে।

মনে রাখবেনঃ

  • সব সময় মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে নিয়ে তার পড়েই ব্যবহার করুন ফেসিয়াল অয়েল।
  • সঠিক রেজাল্ট পাওয়ার জন্য ফেসিয়াল অয়েল বাছতে হবে স্কিন টাইপ অনুযায়ী।
  • টু-বি ব্রাইডরা বিউটি অয়েলস ব্যবহার শুরু করুন বিয়ের অন্তত ৪-৬ মাস আগে। কারণ বিয়ের কদিন আগে স্কিন কেয়ার রেজিমে নতুন কিছু যোগ না করাই ভালো।

 

 

 

Trending


Would you like to receive notifications on latest updates? No Yes