jamdani

Arthritis রোগীর ডায়েট

আর্থারাইটিস রোগীরা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলেন। উঠতে বসতে সমস্যা হয়। সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামা করা, রান্না করার সময় খুন্তি নাড়াতে ব্যথা, এছাড়া অনেক ধরনের সমস্যায় আর্থারাইটিস বা বাতের সমস্যায় কাবু হয়ে পড়েন।
আর্থারাইটিস এক ধরনের ডিসঅর্ডার, যা শরীরের অস্থিসন্ধিগুলিতে প্রভাব বিস্তার করে। আর্থারাইটিস বিভিন্ন রকমের হতে পারে। এর মধ্যে বেশি দেখা যায় অস্টিও আর্থারাইটিস, রিউমাটায়োড আর্থারাইটিস এবং গাউট। এছাড়াও অন্যান্য ধরনের আর্থারাইটিস দেখা যায়। গবেষণায় দেখা গেছে ওজন বাড়লে অস্টিও আর্থারাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
অস্টিও আর্থারাইটিস
অস্টিও আর্থারাইটিস সাধারণত সব থেকে বেশি দেখা যায়। এতে ব্যাথা, ফোলাভাব ও সন্ধি বা জয়েন্টের নাড়াচাড়া কমে যায়। অস্টিও আর্থারাইটিস শ্রীরের যে কোনও অস্থি সন্ধিতেই হতে পারে। তবে সাধারণত হাঁটু, ঊরুসন্ধি, আঙুলের ডগা ও শিরদাঁড়াতে দেখা যায়। এই অসুখে সন্ধির হাড়কে রক্ষা করে যে কার্টিলেজগলি তা ভঙ্গুর হয়ে যায়- ফলে হাড়ের প্রান্তে ঘর্ষণের ফলে হাড়ের ক্ষয় হয় ও ব্যথা হয়। শরীরের ওজন বেশি থাকলে এবং বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সাধারণত অস্টিও আর্থারাইটিস হয়।
• ডায়েটঃ
শরীরের ওজন বেশি থাকার জন্য জয়েন্টের ক্ষতি বেশি হয়, তাই সঠিক খাদ্যের মাধ্যমে শরীরের ওজন কমাতে হবে। বেশি পরিমানে ফ্যাট জাতীয় খাবার কার্টিলেজের ক্ষতি করে। এছাড়া এই অসুখে অনেক সময় রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। ভিটামিন ডি, ভিটামিন কে ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট কার্টিলেজ ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ফল ও সবজি ব্যথা ও ফোলা উপশমে সাহায্য করে।
• ফলঃ
যে সব ফল অস্টিও আর্থারাইটিস রোগীরা খাবেন সেগুলি হল, পেঁপে, পেয়ারা, ফুটি, অ্যাপরিকট, কিউই, স্ট্রবেরি।
• সবজিঃ
যে সবজি এই রোগীরা বেশি করে খাবেন সেগুলি হল, বেলপেপার, ব্রকোলি, ফুলকপি ও টমেটো। এছাড়া সব রঙিন ও সবুজ শাক সবজি খেতে পারেন। এই সময় কম ফ্যাটযুক্ত দুধ, দই, ছোটো মাছ বেশি করে খাওয়া উচিত।
• ক্যালশিয়ামঃ
টোফু, দুধ, ছানা, শাক সবজি খেতে হবে।
• অ্যান্টি-অক্সিডেন্টঃ
অস্টিও আর্থারাইটিস রোগীরা সবুজ শাক, রঙিন সবজি ও ফল খেতে পারেন।
• বায়োফ্লেভানয়েডসঃ
পালংশাক জাতীয় শাক, বেবি টমেটো, কোকো, ব্রকোলি খাওয়া উচিত। কার্টিলেজ ভালো রাখার জন্য অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট কারকিউমিন-এর ভূমিকা রয়েছে।


• কী কী খাবেন নাঃ
এই রোগে যারা ইতিমধ্যে আক্রান্ত তাদের ওজন বাড়ালে একেবারেই চলবে না। তাই চিনি, গুড়, মধু, সন্দেশ ও যে কোনও মিষ্টি চকোলেট কেক পেষ্ট্রি, চাটনি, আচার, সস একেবারেই খাওয়া চলবে না। এছাড়া টিনের প্রসেসড ফুড, ঘি,মাখন ,মার্জারিন, বিজ, জ্যাম,জেলি যে কোনও রকম ভাজা খাবার খাওয়া বন্ধ করতে হবে।
• পরামর্শঃ
বাড়তি ক্যালোরি গ্রহন করা যাবে না। অল্প বাড়তি ক্যালোরি দীর্ঘদিন গ্রহন করলে তা ওজন বাড়ায়।
টাটকা ফল ও সবজি বেশি পরিমাণে খান।
খাদ্যের মাধ্যমে ভিটামিন সি, ওমেগা-থ্রি ও ফ্যাটি অ্যাসিড গ্রহন করতে হবে।
প্রয়োজন হলে ভিটামিন ডি, ক্যালশিয়াম সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে হবে। সবশেষে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

Trending

Most Popular


Would you like to receive notifications on latest updates? No Yes