সাতসকালের রবীন্দ্র সরোবর, কমবয়সী কিছু ছেলেমেয়ে ফুটবল নিয়ে কসরত করে যাচ্ছে আর একটু দূরত্বে দাঁড়িয়ে এক ট্র্যাকস্যুট পরিহিতা এক মাঝবয়সী মহিলা বলে চলেছেন,”পাস, পাস, পাস”
এই আন্দাজ মিলবে না সহজ করে। কারণ মহিলা ফুটবল নিয়ে ভারত ভাবেনি কখন। তবে ইনি শান্তি মল্লিক, প্রথম ভারতীয় মহিলা ফুটবলার যিনি অর্জুন পুরস্কার পেয়েছিলেন। অর্জুন পুরস্কার ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পুরস্কার এবং শান্তি মল্লিক ভারতীয় মহিলা ফুটবলের সবচেয়ে বড় আইকন, এই নিয়ে সত্যি কোনও দ্বিমত নেই।
১৯৯৬ সালে অবসর নেওয়ার আগে শান্তি মল্লিক দাপিয়ে খেলেছেন আন্তর্জাতিক স্তরে। ভারতের হয়ে ১৯৭৯ এবং ১৯৮৩ সালে এএফসি উওমেন্স কাপের ফাইনালে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন শান্তি মল্লিক। সেই যুগে ফুটবল খেলে টাকা ছিল না। তাই সংসারে অর্থের টানাপোড়েনে ১৯৮৬ সাল থেকে ১৯৯৪ পর্যন্ত হকিও খেলেন শান্তি মল্লিক। তারপর ইস্টার্ন রেলের চাকরি পেয়ে স্বস্তি ফিরে পান জীবনে এবং আবার ফুটবলের জীবনে ফিরে আসেন এবং সসম্মানে ভারতীয় দলে নির্বাচিত হন।
ভারতীয় মহিলা ফুটবল সব দিক থেকেই অবহেলিত। মহিলাদের জন্য আই এস এল চালু করা নিয়ে কারোর ভ্রুক্ষেপ নেই। তবে চিরকালের লড়াকু শান্তি মল্লিক কিন্তু আজও একরকম। নিজের সব সাফল্য দেশকে ফিরিয়ে দিতে চান আরো অনেক শান্তি মল্লিক বানিয়ে।
আপনাকে স্যালুট, শান্তি মল্লিক!
সন্দীপ মুখোপাধ্যায় - “নাম কী? থাকো কোথায়? কোন ক্লাস অবধি... Read More
লিপস্টিক আমার কাছে লিপস্টিক নয়। লিপস্টিক আমার কাছে প্রতীক। রং...
আমরা সবাই জানি যে ত্রিদেব বলতে ব্রহ্মাণ্ডের তিন প্রধান স্তম্ভকে...
নাতাশা স্নান সেরে এসছে। সারাটা ঘরই এখন গন্ধস্নান করছে। একই...
পুলিশের উর্দিটা তখনও গা থেকে খুলিনি, সুসময়ী বলল, “তােমার জন্য...
শাে তখন জমে উঠেছে। শীতের সন্ধে। গায়ে ছিল হালকা জ্যাকেট।...
চা আর প্রজাপতি বিস্কুট। খাবার মধ্যে এই। কিন্তু কথা ছিল...
রিশপের ছবিগুলাে সব ফেসবুকে আপলােড করার পর কম্পিউটারের সামনে থেকে...
সকাল বেলাটা আজকাল বিজনের বেশ সমস্যার। থিতু হয়ে প্রভাত উপভােগ...
লােকে ‘ব্যোমকেশ’ নামে ডাকেন। নতুন নামকরণ হয়েছে ‘সােনা দা। এদিকে...
আজও এই শহরের সরু অলি-গলি তাকে নস্ট্যালজিক করে তােলে। তাই...