jamdani

স্বপ্ন দিয়ে ভরা ‘দুধপিঠের গাছ’

একটা গাছ ভর্তি পিঠের স্বপ্ন দেখে সে। যেখান থেকে যেমন ইচ্ছে পেড়ে খাও। শেষও হবে না, কেউ বকুনিও দেবে না। দুধ পিঠে মাটিতে পুঁতে দিলে বুঝি গাছ হয়! এই ভাবনা নিয়েই সে তার বাগানে একটি পিঠে পুঁতে রেখে আসে। যদি সেখান থেকে গাছ হয়, তাহলে অনেক অনেক পিঠে খেতে পারবে সে। সে হলো ছোট্ট গৌর। আড়ংঘাটা গাঁয়ের সহজ সরল এক ছেলে। শৈশবের এই কল্পনা নিয়েই পরিচালক উজ্জ্বল বসু তৈরি করলেন ‘দুধপিঠের গাছ’।


তবে আসল কথা হলো আর পাঁচটা ছবির মতো নয় ‘দুধপিঠের গাছ’। পিঠে গাছ নিয়ে ছোট্ট গৌরের ফ্যান্টাসিকেই লেন্সবন্দী করেছেন পরিচালক। তাও আবার ক্রাউড ফাণ্ডিং-এর মাধ্যমে। হ্যাঁ একটা আস্ত গ্রাম এই ছবির প্রযোজকের ভূমিকায়। রানাঘাটের ৯৩০টি পরিবার প্রায় ২২ লাখ টাকা তুলে ছবি তৈরিতে সাহায্য করেছেন।

পেশায় স্কুল শিক্ষক হলেও উজ্জ্বল বসু স্বপ্ন দেখেন সাউন্ড-ক্যামেরা- অ্যাকশনের। ছবি করবার আশা থাকলেও হাতে টাকা নেই। ঘুরতে হয়েছিল প্রযোজকের দ্বারে দ্বারে। কিন্তু চিত্রনাট্য পছন্দ হয়নি। তখনই তিনি ঠিক করেন গ্রামের মানুষের কাছে যাবেন। আর তারপর মাইক হেঁকে, লিফলেট বিলি করে ছবির জন্যে টাকা চাওয়া। স্বপ্নের দৌড়টা যে অনেক দূর। তাই থামতে হয়নি। গ্রামবাসীদের সহযোগীতায় তিনি তৈরি করে ফেললেন এক স্বপ্নের আখর।


২১ অক্টোবর মুক্তি পাওয়া ছবিটিতে অভিনয় করেছে ৪০জন শিশুশিল্পী। আড়ংঘাটাতেই যাঁদের বসবাস। ছোট্ট গৌরের চোখ দিয়ে এক নতুন স্বপ্নের জার্নি সকলকে নিয়ে যাবে ছোটবেলায়। দেখে আসুন প্রেক্ষাগৃহে। সগৌরবে ‘নন্দন’ প্রেক্ষাগৃহে চলছে। পরিচালকের কথায়, ভালোবাসা দিয়ে তৈরি এই ছবি হারিয়ে যাওয়া শৈশব ফিরিয়ে দেবে দর্শককে। তিনি আশাবাদী, ‘দুধপিঠের গাছ’ভাল বাংলা ছবিকে ভালবাসতে শেখাবে গ্রাম বাংলার দর্শকদের।

Trending

Most Popular


Would you like to receive notifications on latest updates? No Yes