সবসময় শপিং করতে যাওয়ার সময় কোনও শাড়ি দেখে হয়ত আপনার মনে হয়, এই শাড়িটা পড়ে আপনাকে কেমন লাগবে। আবার অনেকেই আছেন যারা নিজেদের শরীরের সঠিক কার্ভ জানেন না। তাই ভুল স্টাইল করে ফেলেন।
কিন্তু সৌন্দর্য্যের কি আর শেষ আছে।
কথায় আছে সৌন্দর্য সব শেপের জন্যেই সঠিক পরিমাপে আছে। তাই চিন্তার কি, নিজের সঠিক শেপ জানুন আর ফ্যাশনেবল হয়ে উঠুন সেই মতো। শুধু আপনাকে জানতে হবে আপনার শেপের জন্যে আপনি কেমন শাড়ি পছন্দ করবেন।
নিজেকে জানা এবং নিজের শরীরকে জানা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ফ্যাশনের জন্যে। তাই এই কয়েকটা ধাপ বেছে নিন। আর দেখে নিন নিজের শরীরের গঠন।
স্টেপ ১- একটা লম্বা আয়নার সামনে দাঁড়ান।
স্টেপ ২- আপনার শরীরের মেজর পার্টের মাপ দেখে নিন।
স্টেপ ৩- এরপর আপনার শরীরের স্লিম পার্ট এবং পেট এবং রিব কেজ-এর মাপ নিন।
স্টেপ ৪- এবার আপনার হিপ-এর মাপ দেখে নিন।
স্টেপ ৫- এর সঙ্গে সঙ্গে কাঁধ-এরও মাপ নিয়ে নিন।
এবার বলি বডি শেপ এর কথা-
ফ্যাশনের ভাষায় একটি শরীরকে বেশ কয়েকটি শেপ-এ ডাকা হয়। যেমন অ্যাপেল শেপ, আওয়ার গ্লাস শেপ, পিয়ার শেপ, রেকট্যাঙ্গুলার শেপ।
অ্যাপেল শেপ- এই শেপের শরীর মূলত বাস্ট লাইন এবং ওয়েস্ট লাইন বেশি হয়। এক্ষেত্রে ওয়েট গেইন করা চোখে লাগে ভীষণ।
অ্যাপেল শেপের জন্য বিড দেওয়া এম্ব্রয়ডারি শাড়ি পারফেক্ট চয়েস। এছাড়া সিল্ক শাড়ি সুন্দর লুক দিতে পারে এবং আপনার ফিগারকেও ব্যালান্স রাখতে সাহায্য করবে। এর সঙ্গে উল্টা পল্লু স্টাইল বেশ মানাবে। এছাড়া যাঁরা আন্ডার আর্ম কভার করতে চাও, তারা ফুলস্লিভ লাইট কাজ করা ব্লাউজ পড়তে পারো। এক্ষেত্রে আপনার কার্ভ সুন্দর দেখাবে।
তবে ফেব্রিকের কাজ করা শাড়ি নৈব নৈব চ।
আওয়ার গ্লাস শেপ- এই ধরণের বডি টাইপ আমাদের অনেকেরই পছন্দ। ওয়েস্ট লাইন ন্যারো এবং বাস্ট ও হিপ লাইন সমান। শরীরের ফ্লন্ট ধরে রাখতে ভীষণ কার্যকর।
এই শেপের জন্যে শিফন, কটন, জর্জেট ধরণের শাড়ি বেশ ভালো। যা আপনার কার্ভকে ফুটিয়ে তুলবে সুন্দর ভাবে। এর সঙ্গে আপনি পড়ুন নরমাল ব্লাউজ যাতে অল্প কাজ করা আছে। ডার্ক কালার শাড়ির সঙ্গে পড়ুন হালকা কাজের ব্লাউজ। আর ড্রেপিং করুন সুন্দর ভাবে।
পিয়ার শেপ- এই শেপের পুরো অ্যাটেনশন থাকে লোয়ার পোরশনের দিকে। শরীরের সমস্ত ওজন সেখানেই শেষ হয়। লিনার বাস্ট ও ওয়েস্ট বর্ডার হিপ সব থেকে বেশি পারফেক্ট হয় এক্ষেত্রে।
পিয়ার শেপের ক্ষেত্রে শাড়ি পড়ুন সিধা পল্লু করে। সবসময় পছন্দ করুন ব্রাইটার এবং ভাইব্র্যান্ট কালার।
মারমেইড স্টাইল শাড়ি এবং কাট এই শেপের জন্য একদম প্রযোজ্য নয়।
রেকটেঙ্গুলার শেপ – এই শেপের জন্য আলাদা করে কোনো পার্থক্য বোঝা যায় না বাস্ট, ওয়েস্ট আর হিপের ক্ষেত্রে। সব অ্যালাইনমেন্ট একইরকম। আসলে এটি হল ওয়েল ব্যালেন্সড বডি শেপ।
ফেব্রিকের লাইট কটন, অরগাঞ্জা, ব্রোকেড এই শেপের সঙ্গে ভীষণ মানায়। বোল্ড প্রিন্টের ব্লাউজের সঙ্গে ডিপ কাট নেক আর স্লিক দেওয়া বর্ডার বেশ দুর্দান্ত চয়েস। এটি একদম সুপার মডেল শেপ, যা খুব ভালো ভাবে শাড়ির সঙ্গে মানিয়ে যায়। এক্ষেত্রে করসেট, ভি নেক, বোট হল্টার পারফেক্ট অপশন।
হেভি ফেব্রিক ওয়র্ক অ্যাভয়েড করুন এক্ষেত্রে।
তাহলে জেনে নিলেন তো সঠিক শেপের সঠিক শাড়ি। ড্রেপ করুন আর হয়ে উঠুন ফ্যাশনিস্তা। শাড়ি একজন নারীর ফ্যাশনের অঙ্গ। যতই দিন বদলাক, শাড়ি কিন্তু কখনই আউটডেটেড হবে না। হয়ে উঠুন নিজেই নিজের ফ্যাসন ডিভা। সেজে উঠুন নতুন সাজে। আর নিজের মধ্যে নিয়ে আসুন কনফিডেন্স।
বিয়ের সাজে জমকালো বেনারসি হোক বা ডিজাইনার লেহেঙ্গা- মানানসই ওয়েডিং... Read More
কাজ হোক কিংবা সাজ, মা ও মেয়ের ভারী সুন্দর বন্ডিং।... Read More
বিয়ের কথা পাকা হওয়া মানেই বাড়িতে সাজো সাজো রব। আর... Read More