শিশুদের একটু খাওয়ার এদিক থেকে ওদিক হলেই, পেটের সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। শিশুর মল জলের মতো পাতলা এবং দুর্গন্ধযুক্ত হবে যদি তার ডায়রিয়া হয় । সে সব ক্ষেত্রে যে সব বাচ্চাদের দাঁত বেরুচ্ছে তাদের পেট খারাপ অথবা ডায়রিয়ার প্রবনতা বেশি লক্ষ্যনীয়। তাই এই বিশেষ সময় আপনি নিন আপনার সদ্যজাত এবং ছোট শিশুদের বিশেষ কেয়ার।
তবে কী করে বুঝবেন আপনার আদরের সবথেকে ছোটো শিশুটির ডাইরিয়া হয়েছে ! তাই চিকিৎসা শুরু করার আগে কারণটা জানা বেশি গুরুত্বপূর্ণ ।
শিশুর পেট খারাপ অথবা ডাইরিয়া হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করার ঘরোয়া প্রতিকারঃ
ও আর এস
শিশুর পেট খারাপের চিকিৎসার জন্য এটি বহুকাল ধরে চলে আসা ঘরোয়া প্রতিকার ‘ও আর এস’। যে কোনও ওষুধের দোকান থেকে আপনি কিনতে পারেন এটি । নাহলে বাড়িতেই তৈরি করে নিন। এক লিটার ফোটান জলে ৬ চা-চামচ চিনি ও হাফ চা-চামচ লবণ দিয়ে ততক্ষণ মেশাতে হবে, যতক্ষণ না সেগুলি সম্পূর্ণ মিশে যায় । শিশুর শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া জল ও লবণ চাহিদা পূরণ করতে শিশুকে নিয়মিত ও আর এস দিন ।
মুড়ি
এক বাটি মুড়ি এক গ্লাস জলে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন । শিশুর পেট খারাপ দ্রুত নিরাময় করতে মুড়ি ছেঁকে নিয়ে সেই জল আপনার শিশুকে দিনে দুবার করে খাওয়ান । পালিশবিহীন সাদা চালে প্রচুর পরিমাণে শ্বেতসার বা শাঁস থাকে এবং খুব সহজে হজম হয়ে যায় । ডায়রিয়া থেকে উপশম পেতে এটিকে জলে সিদ্ধ করে, ছেঁকে আপনার শিশুকে খাওয়াতে পারেন । সদ্যজাত শিশুর ডায়রিয়ার এটি একটি কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার।
আদা
পাচনতন্ত্রের জন্য আদা উপকারী এবং ডায়রিয়ার একটি কার্যকর চিকিৎসা । এক চা-চামচ আদা, একটু দারুচিনি গুঁড়ো, সামান্য একটু জিরে গুঁড়ো এবং এক চা-চামচ মধু মেশান । দিনে তিন বার ওই মিশ্রণ আপনার শিশুকে খাওয়ান । আপনি শিশুকে দেওয়ার আগে একটূ জায়ফলও দিতে পারেন এতে ।
কলা
পেট খারাপের কারণে শিশু অনেকটা পটাশিয়াম হারিয়ে ফেলে এবং এগুলির পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা জরুরী । কলাতে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম। এটা শক্তির একটি বিস্ময়কর উৎস হিসাবে প্রমাণিত, কারণ পেট খারাপ শরীরকে দুর্বল করে দেয় এবং সৌভাগ্যক্রমে, বাচ্চারা কলার স্বাদ পছন্দও করে । এটি সারা বছরই পাওয়া যায় এবং বেশিরভাগ পরিবারে এটি একটি উল্লেখযোগ্য অপরিহার্য খাবার ।
মুসুর ডালের স্যুপ
ডায়রিয়ায় ভুগলে আপনার শিশু কিছুই খেতে চাইবে না । যাইহোক, তাকে তার শরীরে শক্তির পরিমাণ বজায় রাখতে হবে, এই ক্ষেত্রে লাল মুসুর ডাল সাহায্য করতে পারে । এই ‘সুপারফুড’ প্রোটিন ও শক্তিতে ঠাসা, যার কারণে এটি স্বাস্থ্যকর ও সহজপাচ্য । এক কাপ মুসুর ডাল জলে ফোটাতে হবে এবং সেটা ঠাণ্ডা হতে দিতে হবে । কিছুক্ষণ পর মুসুর ডাল থিতিয়ে পড়বে । সেখান থেকে জল আলাদা করে সেটা আপনার শিশুকে খাওয়ান । স্বাদ বাড়াতে সামান্য একটু লবণ দিন ।
ডাবের জল
বিভিন্ন স্বাস্থকর উপকারিতা ছাড়াও, ডাবের জল আপনার শিশুকে ডায়রিয়া থেকে মুক্তি দিতে একটি চমৎকার পানীয় । এটি যে শুধুমাত্র সুস্বাদু তাই নয়, এটি শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া তরল ফিরে পেতেও সাহায্য করে । আপনার বাচ্চাকে দিনে অন্তত দুই থেকে তিনবার ডাবের জল দেওয়ার সুপারিশ দেওয়া হচ্ছে ।
দই
বাড়িতে তৈরি তাজা দই ও ইয়োগার্ট শিশুর পাচনতন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়াকে ফিরে পাওয়ার জন্য খুব উপকারী । যখন আপনার শিশুর ডায়রিয়া হয়, এটিকে সবচেয়ে অন্ত্রের জন্য উপকারী খাবার বলে ধরা হয় । বাড়িতে তৈরি লস্যি এবং মাখন-তোলা দুধেও (চিনি ছাড়া) প্রোবায়োটিক্স থাকে, তাই শিশুকে দেওয়ার আগে কখনো দু’বার ভাববেন না ।
গাজরের রস
যখন আপনার শিশুর পেট খারাপ হয়, তখন তার হারিয়ে যাওয়া শক্তি ফিরে পাওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ । এই সময়ে গাজর শক্তির খুব ভালো উৎস । গাজরের রস অথবা পিউরি দিনে দু’বার পরিবেশন করা যেতে পারে । যদি আপনার শিশুর বয়স ১ বছরের উপরে হয়, তাহলে গাজরের রস তার জন্য ভালো ।
টেরাবেঁকা, উঁচুনিচু দাঁত নিয়ে হীনম্মান্যতায় ভোগার দিন শেষ। দাঁতের অত্যাধনিক... Read More
ইমলি, ঝিমলি, রূপসাদের হঠাৎ জীবন পালটে গেছে। এখনও হুটোপুটি করতে,... Read More
বাচ্চার স্বাস্থ্য তাে বটেই, সৌন্দর্যরক্ষার জন্যও দরকার হেলদি ফুড। এদিকে... Read More
শিশুরা খেলাধুলো-হইচই করবে না, এটা ভাবা যায়? সারাদিন ছোটাছুটি করবে,... Read More
গরমে নিজেদের শরীর ঠিক রাখতেই যেখানে কাবু, সেখানে বাচ্চাদের প্রতি একটু বেশি খেয়াল তো রাখতেই হয়। গরমে শিশুরা তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তাই গরমে শিশুদের যত্ন নেওয়ার জন্য রইল কিছু টিপস- শিশুকে সবসময় সঙ্গে জলের বোতল দিন। গরমে সকলেরই সারাদিন প্রচুর জল খাওয়া উচিত্। বাচ্চারা খেলাধুলো করার কারণে ঘাম বেশি হয় ফলে ওদের জলের প্রয়োজনও হয় বেশি। জল বেশি খেলে শরীরে টক্সিনের মাত্রা কমে শরীর যেমন সুস্থ থাকে, তেমনই রক্ত সঞ্চালন ঠিকঠাক থাকে। আবার পরিশোধিত জল না খেলে এই জল থেকেই রোগ সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে সবথেকে বেশি। বাচ্চাদের টাটকা ফলের রস, ডাবের জল, বাটারমিল্ক বা লেবুর রস রিফ্রেশমেন্ট হিসেবে খেতে দিন। এতে শরীরে জলের সাম্য বজায় থেকে শিশুদের ক্লান্তি দূর হবে। গরমে বাচ্চাকে সবসময় হালকা রঙের জামাকাপড় পরানোর চেষ্টা করুন। হালকা রঙ গরম তাড়াতাড়ি শুষে নিয়ে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। বাচ্চাদের ত্বক নরম ও সংবেদনশীল হওয়ায় গরমকালে র্যাশের সমস্যা দেখা দেয়। তাই খেলতে পাঠানোর সময় চেষ্টা করুন ভাল সানস্ক্রিন লাগিয়ে রোদে পাঠাতে। ভাল এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন শিশুদের ত্বক সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির থেকে রক্ষা করবে। পিজা, পাস্তা, বার্গার থেকে শিশুদের দূরে রাখুন। তার বদলে তরমুজ, শশা জাতীয় ফল, বাড়িতে তৈরি হালকা খাবার খেতে দিন শিশুকে। গরম কালে পোকামাকড়ের কামড়, লালা থেকে অনেক সময় ইনফেকশন হয়। ঘামে বাড়তে পারে সেই ইনফেকশন। তাই বিশেষ করে সন্ধেবেলা ইনসেক্ট রিপেল্যান্ট লাগিয়ে পাঠান। রাতে সবসময় মশারি টাঙিয়ে শোওয়ান। গরমে মশারি টাঙাতে না ইচ্ছা না করলে অবশ্যই মসকিউটো রিপেল্যান্ট লাগিয়ে দিন বাচ্চাকে। Read More
বৈশাখী নার্গিস একটা শিশুর জন্য এই পৃথিবীটা নিরাপদ এবং সুস্থ... Read More
বাইরে থেকে এসেই বাচ্চাকে আদর করতে যাবেন না। আগে ফ্রেশ...
বাচ্চার স্বাস্থ্য তাে বটেই, সৌন্দর্যরক্ষার জন্যও দরকার হেলদি ফুড। এদিকে...
অনেক বাচ্চাদেরও স্কিন খানিকটা ডাল হয়। সেক্ষেত্রে এক চামচ চটকানাে...
বাচ্চাকে সরাসরি ফল খেতে দিলে যদি না খেতে চায় তাহলে...
নিজেকে ঘরবন্দি করে আইসােলেট করবেন না । এ সময় স্ট্রেস...
বাচ্চার জুতাে নির্বাচনের ব্যাপারে একটু সচেতন থাকুন। বাচ্চার জুতাের মাপটি...
বর্ষা চলছে জোর কদমে। সঙ্গে চলছে করােনা ভাইরাসের তুমুল তান্ডব।...
বাচ্চাকে সবসময় ডায়াপার পরিয়ে রাখবেন না। বাইরে বেরনাে এবং ঘুমনাের...
শীতে প্রতিদিন বাচ্চাকে ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করান। বেশি গরম জল...
প্রত্যেক শিশুর মা বাবারাই চান তাদের আদরের সন্তান যেন বিভিন্ন...