jamdani

রাতে ঘুমনোর আগে চুলের যত্ন নেবেন কীভাবে?

স্কিন সুন্দর রাখার জন্য, ভালো রাখার জন্য আমরা কত কিছুই না চর্চা করি। কিন্তু ঘুমনোর আগে চুলের যত্ন কতটাই বা করি। কীভাবে করবেন চুলের যত্ন রইল তার টিপস।

  • সারাদিন আমাদের চুলের ওপর অনেক ধকল যায়। কখনও চুলের নানারকম স্টাইল, কখনও স্ট্রেটনিং, চুলে নানা রকমের এক্সপেরিমেন্ট আমরা করে থাকি। এছাড়া চুলের মধ্যে ঘাম জমা, ময়লা জমা এসব তো আছেই।
  • চুল রুক্ষ হওয়া মানেই চুলের ডগা ভাঙা, চুল বেশি পড়ে যাওয়া। রুক্ষ চুল থেকেই কিন্তু চুলের ড্রাইনেস বাড়ে, আর আপনার চুল হয়ে যায় ড্রাই। ময়েশ্চার লাগানো খুব জরুরী। আর রাতে করলে অনেকক্ষণ চুল সেই ময়েশ্চার পায়। তাই রুক্ষ চুলের যত্নের জন্য রাতে অবশ্যই নারকেল বা আমলকির তেল খানিক গরম করে হাল্কা হাতে চুলে এবং স্ক্যাল্পে লাগান। তারপর একটি হেয়ার মাস্ক লাগিয়ে নিন। এতে চুল ভাল থাকবে।
  • অয়েলি চুল ভাল থাকবে তখনই যখন তার থেকে অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ হবে না। তাই সারাদিনের পর রাতে এসে অবশ্যই শ্যাম্পু করতে হবে। এর ফলে সারাদিনের ময়লা যেমন স্ক্যাল্প থেকে চলে যাবে, তেমনই অতিরিক্ত সিবাম তৈরি বন্ধ হবে। অবশ্যই পারলে ডাস্ট শ্যাম্পু দিয়ে শ্যাম্পু করুন। ডাস্ট শ্যাম্পুর মধ্যে লিকুইড কেমিক্যাল কম থাকে, তাই এটি তেলতেলে চুলের জন্য ভালো।
  • স্ট্রেট চুলের বিপরীত কোঁকড়ানো চুল নিয়ে চিন্তা আমাদের খুব বেশি। কিন্তু রাতে সহজেই কোঁকড়ানো চুলের যত্ন আপনি করতে পারেন। রাতে কোঁকড়ানো চুল ভালো করে ব্রাশ করে ছোট ছোট বিনুনি করে রেখে দিন। খুব মোটা বিনুনি করার দরকার নেই। এই বিনুনি কোঁকড়ানো চুলকে মজবুত করে আর কোঁকড়ানো চুল আরও সুন্দর লাগে।
  • যতই ক্লান্ত হন, কখনই অপরিষ্কার চুল নিয়ে ঘুমোতে যাবেন না। চুল পরিষ্কার না করলে একদিনের ময়লাই আপনার চুলের বারোটা বাজাতে পারে। তাই শ্যাম্পু করে বা এমনি জল দিয়ে ধুয়ে ঘুমোতে যান।
  • হাল্কা হাতে কম্বিং করতে অবশ্যই ভুলবেন না। ব্রাশ করা মানে চুল খানিক বিন্যস্ত করা। চুলে ময়লা থাকলে তা চলে যায়, বা চুলে হাল্কা জট পড়লে তাও কেটে যায়। তাই রাতে ঘুমোবার আগে হাল্কা হাতে ব্রাশ করে নেবেন।
  • ব্রাশ করার সময়ে খুব জোরে ঘষবেন না। এতে চুল ছিঁড়ে যাবে। স্ক্যাল্পের ওপর বেশি চাপ পড়ায় তেল নিঃসরণও বাড়তে পারে। তাই একদম হাল্কা হাতে চুল আঁচড়ান।
  • শক্ত করে চুল বেঁধে ঘুমনো একদম নয়। এতে চুলের ওপর চাপ বাড়ে, চুল ফেটে যায়। তাই চুল এক জায়গায় করে ঘুমোন। দরকার পড়লে হাল্কা একটা বিনুনি করুন বা শাওয়ার ক্যাপ লাগিয়ে ঘুমোন। এতে চুল এক জায়গায় থাকবে।
  • অপরিষ্কার তোয়ালে, বালিশের কভার চুল খারাপ হওয়ার অন্যতম কারণ। রাতে ঘুমনোর সময় তাই দেখে নিন পরিষ্কার বালিশের কভারে ঘুমোচ্ছেন কিনা। তিন দিন অন্তর কভার পাল্টান। চেষ্টা করুন নরম বালিশে শোবার। এতে চুল ভালো থাকে।

Trending


Would you like to receive notifications on latest updates? No Yes