jamdani

রসুনে রাখুন শরীর ফিট

ভারতে আছড়ে পড়েছে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ। প্রত্যেক দিন অনেক মানুষ সংক্রমিত হচ্ছেন এই মারণ ভাইরাসে। অক্সিজেনের অভাব, হাসপাতালে বেড পেতে হচ্ছে সমস্যা। মন্থর গতিতে চলা ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া সাধারণ মানুষের মনে প্রতি নিয়ত বাড়িয়ে তলছে উদ্বেগ। তবে অহেতুক চিন্তা করে লাভ নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে এই মারন ভাইরাসের থেকে বাঁচতে শরীরে বাড়াতে হবে ইমিউনিটি পাওয়ার। আর তাতেই হবে জব্দ করোনা। কিন্তু এখন প্রশ্ন হলো কি করে বাড়াবেন শরীরে ইমিউনিটি পাওয়ার?
এক টুকরো রসুন। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। এক টুকরো রসুনই পাড়বে আপনাকে আর আর পরিবারকে আতঙ্ক মুক্ত রাখতে এই ভাইরাস থেকে। তাহলে জেনে নেওয়া যাক এই আনাজের গুনাবলী সম্বন্ধে।

এই আনাজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও সালফারের একাধিক যৌগ। সবকটি জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। অর্থাৎ, রোগ-প্রতিরোধ শক্তিবৃদ্ধিতে এটি অপরিহার্য। ঠাণ্ডা বা জ্বর হলে শরীরে প্রবেশ করা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালায় রক্তের শ্বেত কণিকা। রসুনে থাকা উপাদান সেই শ্বেত কণিকাকে সাহায্য করে। তবে, এই উপাদানের ফল পেতে হলে রসুনকে কাঁচা অবস্থায় খেতে হবে। রান্নার পর সালফার এনজাইমগুলি প্রভাব ফেলতে পারে না, কারণ তাপে সেগুলি অকেজো হয়ে পড়ে। একইভাবে, তাপে রসুনের অ্যান্টিবায়োটিক ক্ষমতাও হ্রাস পায়। রসুনের কোয়ায় এক ধরনের উপাদান থাকে — অ্যালিয়িন। কাঁচা অবস্থায় এগুলি চিবিয়ে তা পিষে খেলে এই যৌগটি উপাদনটি অ্যালিসিনে পরিণত হয়। এটাই রসুনকে তার রোগ-নিরাময় বৈশিষ্ঠ্য দেয়। এই বৈশিষ্ঠ্যগুলি রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে। আগে লোকে অসুস্থতা, ঠাণ্ডা বা জ্বর থেকে বাঁচতে কাঁচা রসুন খেতেন। এমনকী, অসুস্থ হলেও রোগের তীব্রতা অনেকটাই কমিয়ে দেওয়া এবং দ্রুত সুস্থ করে তোলার ক্ষমতা রয়েছে রসুনের।

 

Trending

Most Popular


Would you like to receive notifications on latest updates? No Yes