ঘোড়ার ডিমের কথা শুনলেও কখনও কেউ চোখে দেখিনি আমরা। অন্যদিকে হাঁস, মুরগি আরও বিভিন্ন পাখি ডিম পারলেও ঠিক আছে, কিন্তু একটা পাহাড় ডিম পাড়ে। এ কেমন! এই বিচিত্র পৃথিবীতে সবই সম্ভব। চীনের এই পাহাড়ের স্থানীয় নাম চান দা ইয়া। মান্দারিন ভাষায় এই নামের বাংলা করলে অর্থ হয় ‘ডিম পাড়া পাহাড়’। এই পাহাড়টি গান্ডেং পর্বতশ্রেণীর অংশ।
গুইঝু প্রদেশের কিয়ানান বুয়ি এবং মিয়াও অঞ্চলজুড়ে এই পাহাড়ের অবস্থান। অবশ্য এই পাহাড়ের পুরোটাই ডিম পাড়ে না। ছোট্ট একটি অংশ ডিম পাড়ে। সেই অংশটি লম্বায় ৯ ফুট, চওড়ায় ৬৫ ফুট। ওই অল্পখানি জায়গাজুড়ে একগাদা ডিম, পাহাড়ের গা ফুঁড়ে একটু একটু করে সেগুলো বের হচ্ছে। পাহাড়ের ব্যাপারস্যাপার তো, সময় তাই একটু বেশিই লাগে! একেকটা ডিম পাড়তে চান দা ইয়ার প্রায় ৩০ বছর লেগে যায়। তারপর ডিমটা পরিপূর্ণ রূপ লাভ করলে, পাহাড়ের গা থেকে টুক করে খসে পড়ে। ডিমের মতোই গড়াতে গড়াতে এসে পড়ে ওই পাহাড়েরই পাদদেশে। সেই জায়গাটা সব সময় ভরে থাকে ডজন ডজন কুচকুচে কালো ডিমে।
এই পাথুরে ডিমগুলো দেখতেও একদম আসল ডিমের মতো মসৃণ আর গোল। কোনোটা আবার একদম ডিম্বাকৃতির। কিন্তু আসল প্রশ্ন হলো, একটি পাহাড় কিভাবে ডিম পাড়ে? ভূতত্ত্ববিদরা এই প্রছনের উত্তর দিতে সত্যি সত্যিই গলদঘর্ম হচ্ছেন। তবে সব মিলিয়ে যে ব্যখা পাওয়া গেছে তাহলো, গান্ডেং পর্বতশ্রেণি মূলত যে পাললিক শিলা দিয়ে গঠিত, সেটি বেশ শক্ত। ব্যতিক্রম শুধু এই চান দা ইয়া। এই জায়গা তৈরি এক ধরনের চুনাপাথর দিয়ে। চুনাপাথর অপেক্ষাকৃত নরম বলে, তা সহজেই ক্ষয় হতে থাকে; কিন্তু তাতে যে কঠিন পাললিক শিলার অংশ থাকে, সেগুলো অত সহজে ক্ষয় হয় না। সেগুলোই জড়ো হয়ে হয়ে ডিমের সৃষ্টি করে।
ডিমের আশপাশের অংশ যত ক্ষয় হতে থাকে, ডিমও তত বড় হতে থাকে। তারপর পুরো ডিম হয়ে গেলে, আশপাশের অংশের ক্ষয়ে যাওয়া এবং ডিমের ওজন বেড়ে যাওয়া মিলিয়ে সেটি টুক করে খসে পড়ে।
চুনাপাথরের স্তর সৃষ্টি হয়েছিল সেই কেমব্রিয়ান যুগে, প্রায় ৫০ কোটি বছর আগে। পাহাড়টির কাছেই একটি গ্রাম আছে, যার নাম গুলু। সেখানকার মানুষের কাছে কিন্তু এসবের ব্যাখ্যা খুব সহজ। তাদের কাছে এই ডিমগুলো ঈশ্বরের দান। ওখানকার অনেক মন্দিরে ডিমগুলোর পূজাও হয়। ওই গ্রামের সোয়া শ বাড়ির প্রায় সব কটিতেই অন্তত একটি করে ডিম রাখা আছে। কারণ তারা বিশ্বাস করে, এই ডিমগুলো সৌভাগ্য বয়ে নিয়ে আসে। ইদানীং অবশ্য ডিমগুলোর আরেকটি ব্যবহারও শুরু হয়েছে। ঘুরতে আসা পর্যটকদের কাছে ডিমগুলো বিক্রি করা যায় চড়া দামে। আর তাই এখন অনেকেই ডিমগুলো খসে পড়ার ঠিক আগে গিয়ে সেগুলো চুরি করে নেয়। ফলে চান দা ইয়ার পাড়া ডিমের সংখ্যাও এখন কমে গেছে।
সন্দীপ মুখোপাধ্যায় - “নাম কী? থাকো কোথায়? কোন ক্লাস অবধি... Read More
লিপস্টিক আমার কাছে লিপস্টিক নয়। লিপস্টিক আমার কাছে প্রতীক। রং...
আমরা সবাই জানি যে ত্রিদেব বলতে ব্রহ্মাণ্ডের তিন প্রধান স্তম্ভকে...
নাতাশা স্নান সেরে এসছে। সারাটা ঘরই এখন গন্ধস্নান করছে। একই...
পুলিশের উর্দিটা তখনও গা থেকে খুলিনি, সুসময়ী বলল, “তােমার জন্য...
শাে তখন জমে উঠেছে। শীতের সন্ধে। গায়ে ছিল হালকা জ্যাকেট।...
চা আর প্রজাপতি বিস্কুট। খাবার মধ্যে এই। কিন্তু কথা ছিল...
রিশপের ছবিগুলাে সব ফেসবুকে আপলােড করার পর কম্পিউটারের সামনে থেকে...
সকাল বেলাটা আজকাল বিজনের বেশ সমস্যার। থিতু হয়ে প্রভাত উপভােগ...
লােকে ‘ব্যোমকেশ’ নামে ডাকেন। নতুন নামকরণ হয়েছে ‘সােনা দা। এদিকে...
আজও এই শহরের সরু অলি-গলি তাকে নস্ট্যালজিক করে তােলে। তাই...