ঢুকেই পাখির কলতানে মন ভালো হয়ে গেল। যেদিকে চোখ যায় সবুজ আর সবুজ। মাঝে মাঝে সিঁড়ি দিয়ে বয়ে চলেছে দারকেশ্বর নদী। মেঘলা আকাশ, ক্ষণিকের জন্য মেঘের ফাঁকে রোদের মুচকি হাসি, কনকনে ঠান্ডা- সব মিলিয়ে মনে হচ্ছিল কোনও হিল স্টেশন আছে।
আমরা এসেছি আরাম বাগের এক বাগানে। যার একদিকে ছোটো-বড়ো টবে, বাগানে, গ্রিন হাউসে রয়েছে চেনা-অচেনা গাছেদের সারি। সেই সঙ্গে অস্ট্রিচ, এমু পাখির বাসস্থান। অন্যদিকে বেনিসহকলার বাইরে কোনও রঙ আবিষ্কার হাতছানি দেওয়া অজস্র পাখি নিজেদের মর্জিমতো গান ধরে বাতাস মুখরিত করছে। এসবের মাঝে একটু এগোতেই নদী বাধঁ।, যা পেরিয়ে দারকেশ্বরের চড়ে যেতেই ঠান্ডা হাওয়া ঝাঁপিয়ে পড়ে আদর করতে শুরু করে দিল। কাঁধের ওপর হাত রেখে রবীন বলল, কী, খুশি মনে হচ্ছে।
বাড়ির কাছেই যে এত সুন্দর জায়গা আছে, জানতামই না। তাই কর্তা যখন বললেন, আরামবাগে অফিসের কিছু কলিগদের সঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান হয়েছে, তখন খুব একটা খুশি হতে পারিনি। উল্টে বলেছিলাম, আর কোনও জায়গা পেলে না। কিন্তু বিরাট বড়ো গেট দিয়ে বাইকে করে যখন বাগানের ভেতরে ঢুকলাম, আমি মুগ্ধ।
‘আপনাদের ঘর রেডি হয়ে গিয়েছে’ ভারী গলার আওয়াজে চমকে গিয়ে পেছন ফিরে দেখি, ডাব নিয়ে দাঁড়িয়ে মুখার্জিবাবু। ওয়েলকাম ড্রিঙ্কস খেয়ে চড়লাম ট্রি হাউসে। আমাদের গাছ ঘরের নাম গোলাপখাস। আমের মধ্যে গোলাপখাস আমার খুব প্রিয়। তাই বুকিং-এর সময় এটা নিয়েছিলাম। জানিয়ে রাখি, তোতাপুরি, আম্রপালি, হিমসাগর ও গোলাপখাস- চারটি ট্রি হাউস আছে। যার মধ্যে একটি গাছ রেস্তোরাঁ। প্রতিটি ঘর সুন্দর করে সাজানো। এসি, গিজার, টিভি সব আছে। বেডরুমে ডবল বেড, ড্রেসিং ইউনিট, কাবার্ড বেতের তৈরি। সেই সঙ্গে টাইম পাসের জন্য তীর-ধনুক থেকে শুরু করে ক্যারাম, টেবল টেনিস সব মজুত রয়েছে। তবে রেস্তোরাঁর বারান্দায় বসে, দারকেশ্বরকে সামনে রেখে, চায়ের সঙ্গে গল্প করার আমেজের কাছে এসব পানসে।
কোথায় থাকবেনঃ- আরামবাস ট্রি হাউস। যোগাযোগ ফোন নং – ০৩৩৬৪৫০৪৪০৭, ৯২৩০০৮৫০৮৪।
ইমেল – aambagan.treehouse@pallishree com
চেক ইন টাইমঃ দুপুর ১২ টা।
চেক আউট টাইমঃ সকাল ১১ টা।
ভাড়াঃ ডবল বেডরুম ৪০০০ হাজার। NEFT বা চেক দিয়ে অ্যাডভ্যান্স বুকিং করতে হবে।
কীভাবে যাবেনঃ- ধর্মতলা থেকে হুগলী ব্রিজ দিয়ে কোনও এক্সপ্রেস ধরে ডানখুনি, সিঙ্গুর, চাঁপাডাঙা হয়ে আরামবাগ।
কী খাবেনঃ-কামারপুকুরের সাদা বোঁদে।
প্রতিদিনের ব্যাস্ততার মাঝে মন চায় কিছুদিনের ছুটি। যেখানে থাকবে না... Read More
প্রতিদিনের ব্যাস্ততার মাঝে মন চায় কিছুদিনের ছুটি। যেখানে থাকবে না... Read More
ওড়িশার একমাত্র শৈলগ্রাম কন্ধমাল জেলার দারিংবাড়ি। শাল, সেগুন, মহুয়ার বন,... Read More
কোচবিহার থেকে মাত্রা ৩৫ কিলােমিটার দূরে তুফানগঞ্জএর রসিকবিল বিভিন্ন প্রজাতির।... Read More
বহুদিন পরে মাত্র কয়েক দিনের ছুটি পেলেন অফিস থেকে। ভাবতে... Read More
অন্তরা বিশ্বাস 'আচ্ছা মাসিমা, কাঁকড়ার ঝােলটা কীভাবে রান্না করে?’ ক্যামেরা... Read More
কোচবিহার থেকে মাত্রা ৩৫ কিলােমিটার দূরে তুফানগঞ্জএর রসিকবিল বিভিন্ন প্রজাতির।...
ঘড়িতে ৮ টা বেজে ১০ মিনিট। তখনও অফিসে কাজ করছিলাম।...
কিটু চট্টোপাধ্যায় বাইক কিনেছি মাসখানেক। একদিন হঠাৎ ইচ্ছা হল বাইক...
পুরি থেকে মাত্র ১৪ কিলােমিটার দূরে। এই সুপ্রাচীন ঐতিহ্যশালী শিল্পকলা...
আদুরে মেয়ের মতাে আদুরিয়া। বর্ধমানের কাছেই এই বন আবাসনটি ভ্রমণরসিকদের...
কলকাতার খুব কাছে একরাত কাটানোর জন্য মনের মত জায়গা। উত্তর...
ঢেউটা আলতাে করে পা দুটো ছুঁয়ে ফের আপন খেয়ালে চলে...
পাহাড়ের কোলে ছবির মতাে সাজানাে এক আদিবাসী গ্রাম। পুরুলিয়ার শহর...
ওড়িশার একমাত্র শৈলগ্রাম কন্ধমাল জেলার দারিংবাড়ি। শাল, সেগুন, মহুয়ার বন,...
শহুরে বাতাবরণ, কোলাহল থেকে বেড়িয়ে হাত বাড়িয়ে একটু এগিয়ে গেলেই...