গ্রাম অথবা শহরের মা-ঠাকুমারা মনে করেন, বাচ্চাদের রোদে রাখাটা খুবই দরকার। বিশেষ করে শীতকালে বাচ্চারা তাতে আরাম পাবে। আসলে বাচ্চাদের বেশি রোদ লাগানোর পজিটিভ দিক যতটা না রয়েছে, নেগেটিভ দিক রয়েছে তার থেকে বেশি।
বাচ্চার পোশাক, কাঁথা, বালিশে রোদ লাগলে তা রোগ-জীবাণুমুক্ত হবে। যা বাচ্চাদের পক্ষে উপকারী বলেই তাঁদের ধারণা। আর একটি বড় দিক হল, সূর্যের রশ্মি থেকে ভিটামিন D সংশ্লেষ হয়ে বাচ্চার হাড়গোড় শক্ত হবে। এই সমস্ত ভাবনাগুলি অবশ্যই ভালো। এছাড়াও আরও ভালো দিক আছে। কোনও কোনও চর্মরোগের ক্ষেত্রে যেমন সোরিয়াসিস, শ্বেতির মতো রোগ হলে সূর্যরশ্মি ভালো কাজ দেয়। সোরিয়াসিস হলে গায়ে একজিমার মতো র্যাশ বের হয়। শ্বেতি হলে গায়ের চামড়া সাদা হয়ে যায়। এসব ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শমতো বিশেষ ওষুধ লাগিয়ে বাচ্চাকে রোদের মধ্যে শুইয়ে দিলে উপকার পাওয়া যায়।
তবে এর আবার কিছু নেগেটিভ দিকও রয়েছে। সদ্যজাত শিশুদের জন্মের কয়েকদিনের মধ্যে ‘নিওনেটাল জন্ডিস’ নামে একটি অসুখ হয়। এতে চোখ হলদেটে বর্ণ ধারণ করে। গোটা শরীরও হলুদ হয়ে যায়। এই সময় অনেক বাড়ির লোকেরাই ঘরোয়া টোটকা খাওয়ানোর পাশাপশি বাচ্চাকে রোদে শুইয়ে রাখে। এটা একদমই উচিৎ কাজ নয়। কারণ বেশিক্ষণ বাচ্চাকে রোদে রাখলে ডিহাইড্রেশন হবার আশঙ্কা বেশি থাকে। বরং নিওনেটাল জন্ডিস হলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন, ততই ভালো।
আসলে ঠিক কত সময় বাচ্চাকে রোদে দিতে হবে, দিনের কোন সময়ে দিতে হবে তা নিয়ে সকলের স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার। শিশু হোক বা প্রাপ্তবয়স্ক, রোদ, খোলামেলা বাতাস অবশ্যই শরীরের জন্য উপকারী। আর সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টের মধ্যে যে কোনও সময় রোদে শিশুকে রাখা যায়। তবে অবশ্যই ঘন্টার পর ঘন্টা নয়। এতে র্যাশ বেরোতে পারে, চামড়ার রঙ কালো হয়ে যায়। আর এই গরমের দিনেও গ্রামাঞ্চলে বাচ্চাকে রোদে শোওয়ানোর প্রবণতা দেখা যায়। ভুল করেও এই কাজটি করবেন না। এতে বরং হিতে বিপরীত হতে পারে।
অনেক বাচ্চাদেরও স্কিন খানিকটা ডাল হয়। সেক্ষেত্রে এক চামচ চটকানাে... Read More
করোনা নামটির সঙ্গে বর্তমানে আমরা সকলেই পরিচিত। আমরা সবাই হয়তো... Read More
বাচ্চার জুতাে নির্বাচনের ব্যাপারে একটু সচেতন থাকুন। বাচ্চার জুতাের মাপটি... Read More
আপনার বাচ্চার প্রথম দাঁত বেরোনো মা হিসাবে আপনার যাত্রার অনেক... Read More
বাইরে থেকে এসেই বাচ্চাকে আদর করতে যাবেন না। আগে ফ্রেশ... Read More
সন্তানের জন্ম নিয়ে বাবা মায়ের আনন্দের শেষ নেই। সেরকমই চাপও... Read More
বাইরে থেকে এসেই বাচ্চাকে আদর করতে যাবেন না। আগে ফ্রেশ...
বাচ্চার স্বাস্থ্য তাে বটেই, সৌন্দর্যরক্ষার জন্যও দরকার হেলদি ফুড। এদিকে...
অনেক বাচ্চাদেরও স্কিন খানিকটা ডাল হয়। সেক্ষেত্রে এক চামচ চটকানাে...
বাচ্চাকে সরাসরি ফল খেতে দিলে যদি না খেতে চায় তাহলে...
নিজেকে ঘরবন্দি করে আইসােলেট করবেন না । এ সময় স্ট্রেস...
বাচ্চার জুতাে নির্বাচনের ব্যাপারে একটু সচেতন থাকুন। বাচ্চার জুতাের মাপটি...
বর্ষা চলছে জোর কদমে। সঙ্গে চলছে করােনা ভাইরাসের তুমুল তান্ডব।...
বাচ্চাকে সবসময় ডায়াপার পরিয়ে রাখবেন না। বাইরে বেরনাে এবং ঘুমনাের...
শীতে প্রতিদিন বাচ্চাকে ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করান। বেশি গরম জল...
প্রত্যেক শিশুর মা বাবারাই চান তাদের আদরের সন্তান যেন বিভিন্ন...