এই বৃষ্টি তো এই ভ্যাপসা গরম। আবহাওয়া এখন এমনই। প্রকৃতির পটপরিবর্তনের এই সময় হুট করে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে শিশুরা। শিশুর সুস্থতায় এই সময় বাড়তি খেয়াল রাখা চাই। শিশুর পরিচ্ছন্নতা, পোশাকের ধরন, খাদ্যাভ্যাস, রোজকার যত্ন—এসবের পাশাপাশি তার ব্যবহৃত কাপড়গুলোর দিকেও নজর দিতে হবে। এই সময় শিশুদের নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কিওলাইটিস, ডায়রিয়া, টাইফয়েড, জন্ডিস এবং কিছু চর্মরোগ হতে দেখা যায়। ডেঙ্গুজ্বরও হচ্ছে। তবে একটু সচেতন থাকলে এ রোগগুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব।
সুস্থতায় যা চাই
■ শিশুকে অবশ্যই বিশুদ্ধ জল খাওয়ান। বাইরের খোলা খাবার দেবেন না।
■ শিশু ঘেমে যাচ্ছে কি না, খেয়াল রাখুন। ঘাম হলে মুছিয়ে দিন। প্রয়োজনে পোশাক বদলে দিন।
■ বৃষ্টিতে ভিজলেও দ্রুত কাপড় বদলে ভালোভাবে মুছে দিন।
■ খুব প্রয়োজন না পড়লে ডায়াপার পরাবেন না। ডায়াপার পরিয়ে রাখার ফলে র্যাশ হতে পারে। ভেজা অবস্থায় রাখলে ছত্রাকের সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই ডায়াপার পরালেও সতর্ক থাকুন যাতে ডায়াপারের স্থানে ঘাম না জমে। ভিজলে একটু পাউডার লাগিয়ে জায়গাটা শুষ্ক রাখতে পারেন।
■ ধূলাময় স্থান এড়িয়ে চলুন। ছায়াযুক্ত ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন স্থানে রাখুন শিশুকে। ঘরে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস আসার ব্যবস্থা রাখুন।
■ ঘরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র থাকলেও ঘর খুব বেশি ঠান্ডা করবেন না। ঘরে-বাইরে তাপমাত্রার পার্থক্য খুব বেশি হলে শিশুর সহজেই ঠান্ডা লেগে যাবে। রাতের শেষ দিকে এমনিতেই তাপমাত্রা কমে যায়। এ সময় কৃত্রিমভাবে তাপমাত্রা কমানোর প্রয়োজন হয় না। আর যাদের অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্ট থাকে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র তাদের কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তবে বদ্ধ ঘরের চেয়ে খোলামেলা, উন্মুক্ত পরিবেশ শিশুর জন্য বেশি ভালো।
■ দিনে ও রাতে মশারি ব্যবহার করুন।
টেরাবেঁকা, উঁচুনিচু দাঁত নিয়ে হীনম্মান্যতায় ভোগার দিন শেষ। দাঁতের অত্যাধনিক... Read More
সন্তানের জন্ম নিয়ে বাবা মায়ের আনন্দের শেষ নেই। সেরকমই চাপও... Read More
বাইরে থেকে এসেই বাচ্চাকে আদর করতে যাবেন না। আগে ফ্রেশ... Read More
শীতে প্রতিদিন বাচ্চাকে ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করান। বেশি গরম জল... Read More
শৈশবের শুরুতেই বাবা, মায়ের উচিত সন্তানকে তার যৌনাঙ্গগুলি চিনিয়ে দেওয়া,... Read More
যত দেশ উন্নত হচ্ছে, ততই যেন নিত্য নতুন টেকনোলজিতে আরও... Read More
প্রতিটি পিতা-মাতাই চান তাদের আদরের সন্তান যেন বুদ্ধিদীপ্ত হয়। তারা... Read More
বাচ্চার স্বাস্থ্য তাে বটেই, সৌন্দর্যরক্ষার জন্যও দরকার হেলদি ফুড। এদিকে...
বাইরে থেকে এসেই বাচ্চাকে আদর করতে যাবেন না। আগে ফ্রেশ...
অনেক বাচ্চাদেরও স্কিন খানিকটা ডাল হয়। সেক্ষেত্রে এক চামচ চটকানাে...
নিজেকে ঘরবন্দি করে আইসােলেট করবেন না । এ সময় স্ট্রেস...
বাচ্চাকে সরাসরি ফল খেতে দিলে যদি না খেতে চায় তাহলে...
বাচ্চার জুতাে নির্বাচনের ব্যাপারে একটু সচেতন থাকুন। বাচ্চার জুতাের মাপটি...
বর্ষা চলছে জোর কদমে। সঙ্গে চলছে করােনা ভাইরাসের তুমুল তান্ডব।...
বাচ্চাকে সবসময় ডায়াপার পরিয়ে রাখবেন না। বাইরে বেরনাে এবং ঘুমনাের...
শীতে প্রতিদিন বাচ্চাকে ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করান। বেশি গরম জল...
গরমে নিজেদের শরীর ঠিক রাখতেই যেখানে কাবু, সেখানে বাচ্চাদের প্রতি একটু বেশি খেয়াল তো রাখতেই হয়। গরমে শিশুরা তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তাই গরমে শিশুদের যত্ন নেওয়ার জন্য রইল কিছু টিপস- শিশুকে সবসময় সঙ্গে জলের বোতল দিন। গরমে সকলেরই সারাদিন প্রচুর জল খাওয়া উচিত্। বাচ্চারা খেলাধুলো করার কারণে ঘাম বেশি হয় ফলে ওদের জলের প্রয়োজনও হয় বেশি। জল বেশি খেলে শরীরে টক্সিনের মাত্রা কমে শরীর যেমন সুস্থ থাকে, তেমনই রক্ত সঞ্চালন ঠিকঠাক থাকে। আবার পরিশোধিত জল না খেলে এই জল থেকেই রোগ সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে সবথেকে বেশি। বাচ্চাদের টাটকা ফলের রস, ডাবের জল, বাটারমিল্ক বা লেবুর রস রিফ্রেশমেন্ট হিসেবে খেতে দিন। এতে শরীরে জলের সাম্য বজায় থেকে শিশুদের ক্লান্তি দূর হবে। গরমে বাচ্চাকে সবসময় হালকা রঙের জামাকাপড় পরানোর চেষ্টা করুন। হালকা রঙ গরম তাড়াতাড়ি শুষে নিয়ে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। বাচ্চাদের ত্বক নরম ও সংবেদনশীল হওয়ায় গরমকালে র্যাশের সমস্যা দেখা দেয়। তাই খেলতে পাঠানোর সময় চেষ্টা করুন ভাল সানস্ক্রিন লাগিয়ে রোদে পাঠাতে। ভাল এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন শিশুদের ত্বক সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির থেকে রক্ষা করবে। পিজা, পাস্তা, বার্গার থেকে শিশুদের দূরে রাখুন। তার বদলে তরমুজ, শশা জাতীয় ফল, বাড়িতে তৈরি হালকা খাবার খেতে দিন শিশুকে। গরম কালে পোকামাকড়ের কামড়, লালা থেকে অনেক সময় ইনফেকশন হয়। ঘামে বাড়তে পারে সেই ইনফেকশন। তাই বিশেষ করে সন্ধেবেলা ইনসেক্ট রিপেল্যান্ট লাগিয়ে পাঠান। রাতে সবসময় মশারি টাঙিয়ে শোওয়ান। গরমে মশারি টাঙাতে না ইচ্ছা না করলে অবশ্যই মসকিউটো রিপেল্যান্ট লাগিয়ে দিন বাচ্চাকে।