jamdani

ফের প্রকাশিত ‘আবোল তাবোল’। কিন্তু কেন?

নশ্বর পৃথিবীতে অবিনশ্বর শুধুই স্মৃতি। তাই বাংলা চলচ্চিত্রে প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় প্রজন্মের পর প্রজন্ম জীবিত থাকবেন দর্শকদের মনে। এবার তাঁর কন্ঠে সুকুমার রায়ের লেখা ‘আবোল তাবোল’-এর কবিতাগুলি শোনার সুযোগ পাবেন  তাঁর অনুরাগীরা। অডিয়ো-ভিজুয়াল কনসেপ্টে ‘আবোল তাবোল’ উপভোগ করার সুযোগ পাওয়া যাবে। মিউজিক ও পারফর্মিং আর্টসের ইউটিউব চ্যানেল প্রকাশের পর এবার মিনিস্ট্রি অফ মিউজিকের এই নতুন ভাবনা। এটির ভাবনা ও ডিজাইন করেছেন শিলাদিত্য চৌধুরী। সুকুমার রায়ের লেখা ৫৩টি ছড়া দুই সিরিজে পড়েছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। এর প্রযোজনা করেছেন ইডেন রিয়ালিটি ভেঞ্চার্স প্রাইভেট লিমিটেড। গত ১৪ নভেম্বর শিশু দিবসে চারটি সিরিজের মাধ্যমে মিউজিক অফ মিনিস্ট্রির ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পেয়েছে এই আবোল তাবোল। এর লঞ্চে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক ও সত্যজিৎ রায়ের পুত্র সন্দীপ রায়। ‘আবোল তাবোল’ বইটাকে সাজিয়ে প্রেস কপি করার সময় ও বইটা ছাপা হবার প্রাককালে কবি সুকুমার রায় মৃত্যুশয্যায় ৷ ১০ সেপ্টেম্বর ১৯২৩  তিনি মারা যান, আর তাঁর পরিকল্পনা মাফিক সাজসজ্জা নিয়ে বইটা বেরয় ১৯সেপ্টেম্বর ৷ এই আদিসংস্করণটি ক’টা কপি ছাপা হয়েছিল, বা সংস্করণটির ক’টা পুনর্মুদ্রণ হয়েছিল, আদৌ হয়েছিল কি না, হলেও বা ক’বার, এইসব তথ্যের কোনও নির্দেশ সিদ্ধার্থ দেননি ৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পর্বেই বইটা দুষ্প্রাপ্য হয়, এই ইঙ্গিত বুদ্ধদেব বসু দিয়েছেন ৷ ১৯৪৫ সাল নাগাদ, সিগনেট প্রেস-এর প্রবাদপ্রতিম দিলীপকুমার গুপ্ত বা ডি.কে. প্রায় ‘বিস্মৃতির অতল’ থেকে নতুন সজ্জায় আবার ছাপালেন ‘আবোল তাবোল’ ও ‘হযবরল’ পুনর্সংকলিত হল ‘পাগলা দাশু’, বেরল ‘খাই খাই’৷ তবে আক্ষেপ একটাই, অকালেই বাঙলা চলচ্চিত্র জগতে ঝড়ে যাওয়ায় এই  বর্ষীয়ান নক্ষত্রের শূণ্যতা আর পূর্ণ হয়তো হবে না কখনো।

Trending

Most Popular


Would you like to receive notifications on latest updates? No Yes