jamdani

দীপাবলিতে কি ২ ঘন্টা করে বাজি পোড়ানোর নির্দেশ ? আজ বৈঠকে সিদ্ধান্ত রাজ্যের

উৎসবের বাজি মৃত্যু ডেকে আনতে পারে করোনা রোগীদের। তাই কালীপুজোয় বন্ধ হোক বাজি ফাটানো- এই নিরিখেই আবেদন জানিয়েছেন চিকিৎসক সঙ্গগঠন, বিজ্ঞান মঞ্চ। সেই সাথে হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। আর এই পরিস্থিতি চিন্তায় ফেলেছে বাজি ব্যবসায়ীদের। তবে এই সমস্যার সমাধানে আজ নবান্নে বৈঠক বস্তে চলেছে রাজ্য সরকার ও বাজী ব্যবসায়ী সংগঠনের। এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত প্রায় ৩১ লাখ মানুষ। তাই তাঁদের স্বার্থে এই বৈঠক।

এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্বরাষ্ট্রসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং বাজি ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা বাবলা রায়। পুরো বিষয়টি নিয়ে সামনাসামনি আলোচনার জন্যে মুখ্যমন্ত্রী বাবলা রায়কে ডেকে পাঠিয়েছেন।

প্রসঙ্গত কালীপুজো ও দীপাবলিতে বাজি ফাটানো নিয়ে কিছু আবেদন রাজ্য সরকারের কাছে রেখেছেন বাজি ব্যবসায়ীরা। তাঁদের দাবী অনুযায়ী ১৪ ও ১৫ নভেম্বর রাত আটটা থেকে দশটা পর্যন্ত মোট চার ঘন্টা বাজি পোড়ানোর অনুমতি দিক রাজ্য সরকার। করোনা পরিস্থিতিতে সকলেই ক্ষতির সম্মুখীন। তাই দমকল ও পরিবেশ সহ মোট ৬টি সরকারি দফতর দ্বারা স্বীকৃত ৫৩ হাজার ব্যবসায়ীকে ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক অনুদান দেওয়ার দাবী জানিয়েছে তাঁরা।

তার পরিবর্তে কিছু শর্ত রেখেছে রাজ্য সরকারও। জানানো হয়েছে, চাইনিজ বাজি বিক্রি করা যাবে না। সাপ বাজি, ইলেকট্রিক তার, রং মশালের মতো সে সব আতসবাজি থেকে বেশি ধোঁয়া তৈরি হয় তা বিক্রি করতে নিষেধ করেছে রাজ্য। কম দূষণের বাজি বিক্রিতে রাজ্য সরকার সায় দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

কারণ করোনা রোগীদের মূল সমস্যা হলো শ্বাসকষ্ট। কালীপুজোয় বাজি ফাটলে বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়বে। যার জেরে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে। এই আশঙ্কায় বাজি বন্ধের দাবিতে সরকারকে চিঠি দিয়েছে রাজ্যের ৫ চিকিৎসক সংগঠন। একই দাবি পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চেরও।

Trending

Most Popular


Would you like to receive notifications on latest updates? No Yes