jamdani

‘দিল্লিতে জব ছেড়ে কলকাতায় এসেছিলাম’

ছােটো থেকে কোনওদিন ভাবিনি অ্যাক্টিং করব। কিন্তু কথায় বলে না জীবন চলে তার নিজের ছন্দে। তাই তাে এমবিএ সিএস করার পর আজ আমি  অভিনেত্রী।

দিল্লিতে জব করতাম। ভালাে স্যালারিও ছিল। কিন্তু কিছুতেই শান্তি পাচ্ছিলাম না। আসলে আমি ছােটো থেকেই চাইতাম নিজে কিছু করতে। সত্যি বলতে আমি কোরিওগ্রাফার, ডাইরেক্টর হতে চেয়েছিলাম। আর এই টানে জব ছেড়ে সােজা কলকাতায় চলে আসি, এসভিএফ অফিসে ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছি। ওরা তাে আমার সিভি দেখে অবাক, জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “তুমি এত পড়াশােনা করে এই লাইনে কেন আসতে চাইছ? যাই হােক। ডাইরেক্টর নয় অ্যাসিসট্যান্ট ডাইরেক্টর হিসাবে শুরু হয় আমার স্বপ্নের জার্নি। অ্যান্ড আই অ্যাম রিয়েলি ব্লেস যে আমার প্রথম কাজের হাতেখড়ি হয়। ঝর্ণা মাসির (অপর্ণা দে’র) হাতে। আরশিনগরের এডি ছিলাম আমি। ক্রিয়েটিভ কিছু করতে চাই বলে জব ছেড়ে নতুন প্রফেশনে জয়েন করি। কিন্তু কিছুই বলতাম না। সব কিছু শিখিয়েছে ঝর্ণা মাসি। এভাবে অ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্টর হিসাবে একবার কাজ করার পর স্টার থেকে কল আসে। তবে সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় আমার ওয়েট। তখন আমার ৭২ থেকে ৭৩ কিলাে ওজন। প্রােডিউসার আমাকে দেখে বলেন ওয়েট কমাতে। তারপর ওনারা আমাকে নিয়ে ভাববেন।

এরপর আমি নিজের উপর কাজ শুরু করি। তারপর যেদিন ‘খােকাবাবু’র প্রমাে শু্যট হয় তখন আমি জানতে পারি তরী’র চরিত্রে অভিনয় করছি। এভাবেই শুরু হয় আমার লাইট ক্যামেরা দুনিয়ার জার্নি। যে পথে আমি অনেক কিছু শিখেছি এবং শিখে চলেছি।

আর আমার এই ছােটো যাত্রাপথে যার কথা না বললেই নয় তিনি স্নেহাশিষ চক্রবর্তী। আমি তাে হিন্দি মিডিয়ামের স্টুডেন্ট। বাংলায় খুব খারাপ ছিলাম, স্নেহাশিষদা আমাকে বর্ণপরিচয় দিয়েছিল বাংলা শিখতে। পরপর অভিনয়ের শিক্ষা তাে আছেই, আসলে আজ আমি যেটুকু অভিনয় করতে পারি তার গােটা ক্রেডিটটাই স্নেহাশিষদা’র। আর আমার প্রাপ্তি সবার ভালােবাসা।।

রাস্তায় বেরলে যখন কেউ ‘খােকার বউ’ ‘টেপি’ ‘তরী’ বলে সম্বােধন করে বিশ্বাস করুন এর থেকে খুশি আর কিছুতে পাই না।

কলম: তৃণা সাহা 

 

Trending

Most Popular


Would you like to receive notifications on latest updates? No Yes