jamdani

ডায়েট করতে গিয়ে কম খাচ্ছেন না তো?

ডঃ রীণা মজুমদার (ডায়েটিশিয়ান)

ইদানিং ডায়েট করার জন্যে অনেকেই উপোস করাকে হাতিয়ার হিসেবে মনে করছেন। হ্যাঁ, এই কথা ঠিক যে উপোস কিছুটা হলেও সাহায্য করে সঠিক ডায়েট করতে। আজকাল সকলের হাতেই মুঠোফোন। একটা ফোন করলেই খাবারের বিশাল আয়োজন সামনে এসে যাচ্ছে। আর আমরা না জেনেই ক্যালোরির পর ক্যালোরি গেইন করছি। যার ফলে বাড়ছে ওজন। তবে ওজনের সঙ্গে লড়াই করতে উপোস করা চলতেই পারে কখনো কখনো। এতে বাড়তি মেদের বোঝা কমবে। আর ওজনও নিয়ন্ত্রণে আসবে।
তবে এইপর্যন্ত যা বললাম তাতে কোনও সমস্যা নেই। মাঝে মাঝে খাবার না খেলে শরীর ভেঙে পড়ার কথা নয়। আর আমাদের দেশে সব ধর্মেই নানা রকম আচার অনুষ্ঠানে উপোস করার নিয়ম চালু আছে। এতে আমাদের শরীরের অভ্যন্তরীণ সিস্টেম বিশ্রাম পায়। এখন অনেকেই ফাস্টিং এর উপর আস্থা রাখেন। অর্থাৎ ১০-১২ ঘন্টা না খেয়ে থাকেন। বাকি সময় যা খুশি খেতে পারেন। কেউ ফল খান, আবার কেউ জলও স্পর্শ করেন না। কিন্তু এর মধ্যে কোনটা শরীরের জন্য উপযোগী, সেটা জানা প্রয়োজন।
• সবার আগে নিজের শরীরের উপর আস্থা রাখুন সম্পূর্ণ।
• আপনার যদি গ্যাস, অম্বলের সমস্যা না থাকে, তাহলে আপনি আপসেই করতে পারেন ফাস্টিং।
• ঘন্টার পর ঘন্টা জল না খেয়ে শরীর আর্দ্রতা হারাতে শুরু করে। তাই অল্প অল্প জল খেতে পারেন।
• চেষ্টা করুন ফল, ফলের রস, স্যুপ, ডাল খাওয়ার।
• সবচেয়ে ভালো হয়, যদি রাতের খাওয়াটা আটটার মধ্যে সেরে ফেলতে পারেন।
• পরদিন সকাল আটটা বা সাড়ে আটটার আগে আর সলিড কিছু খাবেন না। জল খেতে পারেন।
• উপোস করার আগে বা পরে আপনি কী খাচ্ছেন, তার উপর নির্ভর করে শরীর কেমন থাকবে। তাই হালকা তেল মশলায় রান্না করা খাবার, ফল বা ছানার উপর আস্থা রাখুন।
• তবে ওজন কিন্তু শুধু ফাস্ট করলে বা কম খেয়ে থাকলেই কমবে না। আপনাকে মেনে চলতে হবে কিছু নিয়মও। ব্যায়াম করতে হবে, বিশ্রাম নিতে হবে, জল খেতে হবে প্রচুর। তবেই ভালো থাকবে শরীর।

কখন কখন উপোস করা একেবারেই ঠিক নয়

ডায়াবেটিস বা হাইপারটেনশনের সমস্যা থাকলে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং বেশ কাজে দেয়। কিন্তু এক্ষেত্রে আমাদের পরামর্শ হচ্ছে, কোনও ফাস্ট রাখার আগে ডাক্তারের সঙ্গে একবার কথা বলে নেওয়া উচিত।

গ্যাসট্রিক বা পেপটিক আলসারের সমস্যা আছে যাঁদের, বা যাঁদের অ্যাসিড রিফ্লেক্স করে, তাঁরাও ফাস্টিং করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

এক্ষেত্রে যদি দেখেন দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার ফলে আপনার ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্য ক্রমশ খারাপ হচ্ছে, তা হলে আর ফাস্টিং করার দরকার নেই। বা এই নিয়মে পরিবর্তন আনুন। তবে লক্ষ্য রাখবেন আর্দ্রতায় যেন ঘাটতি না পড়ে।

ফাস্টিং করার পর খুব বেশি দুর্বল লাগলে বা বমি বমি ভাব হলেও বুঝতে হবে আপনার শরীর তা নিতে পারছে না। ফাস্টিং করার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

Trending

Most Popular


Would you like to receive notifications on latest updates? No Yes