jamdani

জেদি বাচ্চা সামলাবেন কী করে?

নয় বছরের তমালকে নিয়ে প্রায়ই বিপদে পড়তে হয় ওর বাবা-মাকে। শপিং মলে গেলে কোনও কিছু কেনা তার চাই-ই চাই। আর সেটা কিনে না দিলে মাটিতে গড়াগড়ি। সবার সামনে চিৎকার, কান্নাকাটি। সে এক হুলুস্থূল অবস্থা। আদর করে, ধমক দিয়ে, বুঝিয়ে- নানাভাবে চেষ্টা করেও তাকে কোনওভাবে বোঝানো যায় না। এমই চিত্র প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই। জেদি বাচ্চাকে নিয়ে নাজেহাল। তবে একটা বিষয় সবসময় মনে রাখবেন, আপনার বাচ্চার স্বভাব পাল্টাতে পারেন একমাত্র আপনিই। তাই দেরি না করে মেনে চলুন জেদি বাচ্চা সামলানোর কিছু টিপস।

  • মনে করুন আপনার বাচ্চা একটু আগেই প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ করে এখন একটু শান্ত। আর সঙ্গে সঙ্গে আপনি গিয়ে জেরা করতে শুরু করে দিলেন। আপনাকে যদি কেউ এই সময় এসে জেরা করতে শুরু করত, ঠিক থাকত আপনার মাথা? নিশ্চই না। তাহলে আপনার বাচ্চার কাছ থেকে কী করে আশা করেন, সে শান্ত গলায় উত্তর দেবে ! তাকে শান্ত হতে দিন নিজে থেকেই। তারপর হাসিমুখে জিজ্ঞেস করুন, কী হয়েছিল? চেষ্টা করবেন তার সঙ্গে কথা বলার সময় আপনার রাগ আর কথা যেন দু’দিকে থাকে। আপনার কথা বলার সঙ্গে যদি রাগ প্রকাশ পায়, তাহলে সে শান্ত হবে কী করে?
  • ছোট্ট বাচ্চাদের রাগ ঠিক তুবড়ির মতো, একটু অসাবধান হলেই সব ভেঙেচুরে চুরমার করে দেয়। তাই সব সময় চেষ্টা করুন, আদর করে নাড়াচাড়া করার। যদি কখনও আপনার বাচ্চা অন্য কাউকে আঘাত করে বা কামড়ে দেয়, তাহলে প্রথমে তাকে শান্ত করুন। তারপর বলুন,’কেউ যদি তোমাকে কামড়ে দিত তাহলে তোমার কি ভালো লাগত?’ দেখবেন সে আর কখনও এরকম ব্যবহার করবে না।
  • চেষ্টা করুন আপনার সন্তানের সঙ্গে সব সময় কথা বলার। আপনার সন্তান যে সারাদিন ঘর মাতায় তুলে রাখে, তা তো নয়। মাঝে মাঝে সেও ভালো কাজ করে। যখন কোনও ভালো কাজ করে, তাকে অবশ্যই প্রশংসা করুন। ও যদি অন্য কারোর সঙ্গে খাবার শেয়ার করে কিংবা খেলনা, তার প্রশংসা করুন। আপনি হয়ত ফোনে কথা বলছেন, তখন হঠাৎ সে আপনার পাশে এসে চিৎকার শুরু করল, আপনি হাত দিয়ে ইশারা করলেন, চুপ থাকতে। সঙ্গে সঙ্গে চুপ হয়ে গেল। অবশ্যই কথা বলা শেষ হওয়ার পর বলুন, বাহ, ‘তুমি তো বেশ লক্ষ্মীছানা হয়ে গেছ। এক্ষেত্রে আপনার কাছে যদি আরও ভালো শব্দ জানা থাকে, সেইগুলো ব্যবহার করুন।
  •  ভায়োলেন্ট গেম, ভিডিও, টিভি স্যরজ দেখা বন্ধ করুন নিজে। আপনি হয়ত লক্ষ্য করেছেন, আপনার বাচ্চা স্পাইডারম্যানের ফ্যান হয়ে গেছে ওই সিরিজগুলো দেখে দেখে। সুতরাং বেশি মারামারির সিরিজ অথবা গেম দেখতে থাকলে সে চেষ্টা করবে এরকম বিহেভ করতে। চেষ্টা করুন সমস্যার মূল উপড়ে ফেলতে। বন্ধ করুন মারামারিতে উৎসাহিত করে এমন গেম বা টিভি সিরিজ ইত্যাদি দেখা।

Trending

Most Popular


Would you like to receive notifications on latest updates? No Yes