jamdani

ছাঁচি কুমড়ার ডালনা

যতই মুঘলাই, মেক্সিকান, ফিউশন ফুড বা চাইনিজ – এ চিত্ত ভরানোর চেষ্টা চলুক, আদিঅকৃত্তিম বাঙালি নিরামিষ খানার কোনও বিকল্প নেই! ঠাকুমা-দিদিমার হাতের কালিয়া, অম্বল, চচ্চড়ির স্বাদই আলাদা! লকডাউন চলছে, ভালোমন্দ খেতে খেতে হেজে গেলেও স্বাদ বদল করতে রইল পুরনো দিনের এই নিরামিষ পদটি।
সময়ঃ ৪০ মিনিট
পরিমাণঃ ৩ জন

উপকরণ
• ছাঁচি কুমড়ো (চালকুমড়ো) – ২৫০ গ্রাম (খোসা ছাড়িয়ে ডুমো ডুমো করে কাটা)
• আলু – ৩-৪ টে (এটাও ডুমো ডুমো করে কাটা)
• বড়ি – ৮-১০ টি
• ভাজা মুগ ডাল – ৬০ গ্রাম
• হলুদগুঁড়ো – ১/২ চা চামচ
• ধনেগুঁড়ো – ১ চা চামচ
• গোটা সরষে (পিষে নিন) – ১ চা চামচ
• শুকনোলঙ্কাবাটা – ১ চা চামচ
• তেজপাতা – ২ টো
• আদা – ১২ গ্রাম
• স্বাদমতো নুন
• দুধ – ১ টেবল চামচ
• ঘি – ১ টেবল চামচ
• পরিমাণমতো জল
• জিরা – ১ চা চামচ
• জিরা-মরিচবাটা – ১ চা চামচ
• চিনি – ১/২ চা চামচ
• দারচিনি – ২ ইঞ্চি
• ছোট এলাচ – ১ টি
• লবঙ্গ – ৩ টে

পদ্ধতি
• ৩ গ্রাম আদা কুঁচিয়ে নিন। বাকি আদা আর গরমমশলা (ছোট এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গ) একসঙ্গে বেটে নিন।
• মুগ ডাল সেদ্ধ করে নিন।
• হলুদ, ধনে, সরষে আর শুকনোলঙ্কাবাটা একসঙ্গে জলে গুলে নিন।
• কড়াইয়ে ঘি গরম করে বড়ি ভেজে নিন।
• ওই ঘিয়েই আলু, ছাঁচি কুমড়ো (চালকুমড়ো), নুন আর সাড়ে ৪ কাপ জল মিশিয়ে ঢাকনা এঁটে দিন।
• জল মরে এলে, হলুদ-ধনে-সরষে-শুকনোলঙ্কাবাটার মিশ্রণ মেশান।
• ১০ মিনিট পর, আলু আর কুমড়ো অনেকটা সেদ্ধ হয়ে এলে, মুগের ডাল আর ভেজে রাখা বড়ি দিন।
• ৫-৬ মিনিট ফোটার পর তরকারি নামিয়ে নিন।
• আর একটা কড়াইয়ে তেজপাতা, আদাকুচি ও জিরা ফোড়ন দিন।
• ভাল গন্ধ বেরোলে, এর মধ্যে তরকারি ঢেলে দিন।
• ২ মিনিট পর, দুধে জিরা-মরিচবাটা আর চিনি গুলে মেশান
• ৩ মিনিট পর, একসঙ্গে বেটে রাখা আদা ও গরমমশলা মিশিয়ে, তরকারি একবার হাতা দিয়ে নেড়ে, আঁচ থেকে নামিয়ে নিন।
• আরও বেশ কিছুক্ষণ ঢাকা চাপা দিয়ে রাখবেন। এতে গরমশলার গন্ধ উবে যাবে না।

Trending


Would you like to receive notifications on latest updates? No Yes