jamdani

কির্কপিনার অয়েল রেসলিং টুর্নামেন্ট

প্রতি বছর জুন মাসের নির্দিষ্ট সময়ে মল্লযুদ্ধ বা কুস্তির প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠে তুর্কিস্থান। সারা দেহে জবজবে করে অলিভ অয়েল মেখে যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলায় নেমে পড়েন প্রতিযোগীরা। পরনে কোনও জামা থাকে না, শুধু চামড়ার ট্রাউজার পরে নামতে হয় যুদ্ধে।

ট্রাউজারটি হয় খাটো সাইজের। হাঁটুর নীচ অবধি। একে অন্যের সঙ্গে প্রবল পরাক্রমে শক্তি প্রয়োগের খেলার জয় আসে তখনই, যখন একজন প্রতিযোগী আর-একজনকে মাটিতে ফেলে ঠেসে ধরে বা কাঁধের ওপর তুলে ধরে। এই প্রতিযোগিতা বর্তমানে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে ‘লংগেস্ট রানিং স্পোর্টস কমপিটিশন’ হিসেবে জায়গা করে নয়েছে। তবে এই অয়েল রেসলিং প্রতিযোগিতার ইতিহাসটি সুপ্রাচীন।

২৬৫০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে এনশিয়েন্ট ইজিপ্টে এবং মিডল ইস্টের অন্যান্য অঞ্চলে এ ধরনের মল্লযুদ্ধের প্রমান পাওয়া যায়। প্রাচীনতম প্রামাণ্য সাক্ষ্য পাওয়া যায় এক ইজিপশিয়ান উচ্চপদস্থ রাজকর্মচারীর সমাধিস্থল থেকে প্রাপ্ত লাইমস্টোনে খোদাই করা চিত্র থেকে। সাকারা অঞ্চলে প্রাপ্ত এই Tomb টি ফিফত ডাইনেস্টি সময়কালের। আরও একটি প্রমাণ পাওয়া যায় ইজিপ্টের বেনি হাসান-এর কাছে। চার হাজার বছরের পুরোনো এই Tomb চিত্রটি কার্টুনের মতো আঁকা। মনে করা হয় সমাধিটি যে ব্যক্তির তিনি তাঁর সময়ে একজন বিখ্যাত কুস্তিগির ছিলেন। একটি ছবিতে দেখা যায় কুস্তিগিরের তৈলমর্দন পর্ব এবন একটি বাঁশের কাণ্ডে রক্ষিত তেল। দ্বিতীয়টিতে দেখা যায় কুস্তি শুরু হয়েছে। এর বহু শতাব্দী পর পার্শিয়ান সাম্রাজ্য ইজিপ্ট বিজয় করলে পার্শিয়ান শাহরা ফারাওদের সিংহাসন দখল করে। এই সময়কালেই ইরানে অয়েল রেসলিং প্রচলিত হয়। সমস্ত পুরোনো কাহিনি, গল্প বা পুরাকতায় অয়েল-রেসলারদের সম্মান প্রদর্শনের কথা পাওয়া যায়। টার্কিশ রেসলারদের প্যান্ট হয় চামড়ার, যাকে ‘কিসপেট’ বলা হয়। আর ইরানিয়ান পালোয়ানদের প্যান্ট হয় সিল্কের, যাকে ‘পিরপেট’ বলে। ১৫৮২ সালের আগে পর্যন্ত অয়েল রেসলার আনা হত যুদ্ধবন্দি এবং ক্রীতদাসদের মধ্য থেকে। বর্তমানে সাধারণ জনতাই অংশ নেয় এই প্রতিযোগিতায়।

Trending

Most Popular


Would you like to receive notifications on latest updates? No Yes