• অপর্ণা সেন থেকে সৃজিত মুখােপাধ্যায়, অরিন্দম শীল, এমনকি বিরসা দাশগুপ্ত– টলিউডের তাবড় তাবড় পরিচালক সকলেই অনির্বাণকে তাদের
ছবিতে চাইছেন কেন? এটা তাঁরা ভালাে বলতে পারবেন। আমি শুধু যখন কোনও পার্ট পাই, তখন ফঁাকি না দিয়ে কষ্ট করে কাজটা করার চেষ্টা করি। যেটা সব অভিনেতাই করে থাকেন। তবে আমার নিজের মনে হয়, টলিউডের পরিচালকদের কোথাও আমার অভিনয়ের ওপর একটা আস্থা বা ভরসার জায়গা তৈরি হয়েছে।
• আপনি অনেক জায়গায় বলেছেন ফেলুদা আপনার স্বপ্নের চরিত্র, সেখানে।
ফেলুদার চরিত্রে অভিনয় করার কথা হয়েও না করতে পারাটা কতটা দুঃখের ? নাম ঘােষণা হওয়ার পরেও ছবিটা করতে না পারা খুবই কষ্টের। তখন সত্যি খুব, খুব খারাপ লেগেছিল। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই ক্ষতে মলম পড়েছে। আর আজ । ব্যোমকেশের চরিত্রে অভিনয় করার পর ফেলুদা করতে না পারার দুঃখটা জাস্ট আর নেই।
• বর্তমানে টলিউডে ব্যোমকেশ বলতে মানুষ আবির চট্টোপাধ্যায়কে বােঝেন। সেখানে দাঁড়িয়ে ব্যোমকেশের চরিত্রে অভিনয় করাটা কতটা চ্যালেঞ্জের বা ডিফিক্যাল্ট ছিল ?
বিলিভ মি, ও সব কিছু ভাবিনি। খােলা মাথায় কাজ করে গিয়েছি। শুধু ব্যোমকেশের গল্প আর স্ক্রিপ্টটা মন দিয়ে বারবার পড়েছি। আর বাঙালিয়ানাকে যতটা পারা যায় ব্যোমকেশের চরিত্রে ইনকর্পোরেট করার চেষ্টা করেছি। সঙ্গে নিজের আইডিয়া দিয়ে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কীভাবে রিঅ্যাক্ট করা যেতে পারে, সেই চিন্তাভাবনা করেই প্রস্তুতি নিয়েছি। এবার বাকিটা দর্শকরা জানেন। অবশ্য কেউ কেউ আমাকে বলেছেন, খুব ভালাে অভিনয় করেছি। আবার কারও একদমই ভালাে লাগেনি। তবে হ্যা, নার্ভাস একটু ছিলাম বৈকি। অত বড়াে বড়াে সব অভিনেতা ব্যোমকেশের চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
• ‘আরশিনগর’-এর পর ‘ঘরে বাইরে আজ’-এ আবার অপর্ণা সেনের সঙ্গে কাজ | করছেন। আগেরবার ছবিটা দর্শক সেভাবে নেননি। এবার কি অপর্ণা।
সেন-অনির্বাণ জুটি সফল হবে? আপনি কী মনে করেন? আমি তাে চাই আমার সব ছবি হিট হােক। কিন্তু ঘরে বাইরে আজ’ মাসপুলিং মুভি বা সর্বসাধারণের সিনেমা বললে মিথ্যে বলা হবে।‘আরশিনগর’ আর ‘ঘরে বাইরে আজ’ দুটি আলাদা ধরনের ছবি। সেদিক থেকে ‘ঘরে বাইরে আজ’ যে অডিয়েন্সের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছে, তারা দেখলেই অপর্ণা সেন-অনির্বাণ জুটি সফল।
• এই ছবিতে আপনার চরিত্র নিয়ে কোনওরকম এক্সপেরিমেন্ট করা হয়েছে?
একদমই না। অ্যাজ ইট ইজ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নিখিলেশ। কিংবা বলতে পারেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস অবলম্বনে সত্যজিৎ রায়ের সিনেমা ‘ঘরে বাইরে’র নিখিলেশ। ভিক্টর ব্যানার্জি যে চরিত্রটি অভিনয় করেছিলেন, আমি সেটাই করছি। শুধু এই সময়ের এপিকটেড।
• ‘গুমনামি বাবা’-তে প্রসেনজিতের সঙ্গে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা কেমন?
এককথায় দারুণ। খুব এনার্জিটিক ও স্পাের্টিং মানুষ উনি। আমি তাে প্রথম দিন খুব নার্ভাস ছিলাম। কিন্তু উনি সেটে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে যেভাবে আপন করে। নিলেন, তারপর ভয়গুলাে কোথায় যেন সব পালিয়ে গেল! ওঁর সঙ্গে কাটানাে প্রতিটি মুহূর্ত দারুণ।
• এই ছবিতে ‘গুমনামি বাবা’ কে? আপনি, নাকি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ?
(মুচকি হেসে) এখন তাে বলা যাবে না।‘গুমনামি বাবা’ এখন শু্যটিং ফ্লোরে আছে। তাই যতক্ষণ না প্রযােজক সংস্থা থেকে গ্রিন সিগন্যাল পাচ্ছি, ততক্ষণ বলা বারণ।
• এখন থিয়েটারটা তেমন করে আর করা হয় না। কোথাও মনখারাপ হয় না?
মনখারাপ হত, ভীষণ মনখারাপ হত। তবে আগের বছর এই খারাপে দাঁড়ি টেনেছি। কারণ এ বছর আমি দুটি থিয়েটার করছি। জয়রাজ ভট্টাচার্যের পরিচালনায় উৎপল দত্তের ‘তিতুমীর’ নাটকে তিতুমীরের অভিনয় করছি। আর আমার দল হাতিবাগান সঙঘারাম থেকে পন্তু লাহা টু পয়েন্ট জিরাে’ নাটকটি পরিচালনা করছি।
• থিয়েটারে পরিচালনার পাশাপাশি বড়ােপর্দায় পরিচালনার কথা ভাবছেন কি?
না, একদমই তেমন কোনও ভাবনা আমার নেই। তবে সিনেমার জন্য গল্প লিখতে চাই। সেটা এখনও হয়ে ওঠেনি।
• থিয়েটারে লাইভ পারফরম্যান্স, নাকি চলচ্চিত্রে কাজ করা কোনটা বেশি সহজ?
দুটো কাজ দু’রকমভাবে কঠিন। পার্থক্য শুধু ফর্মের। দু’ক্ষেত্রেই একজন অভিনেতাকে অন্য একজন মানুষ সাজতে হয়। সে কাজটি খুবই কঠিন।
• অশােক দিন্দার সঙ্গে কাটানাে কিছু মজার ঘটনা যদি শেয়ার করেন
আমার জীবনে মজার কোনও ঘটনা খুবই কম। অশােকের সঙ্গে তেমন কোনও মজার স্মৃতি আমার নেই। তবে প্রায় সকালে আমরা রাস্তার ধারে একটা দোকানে ব্রেকফাস্ট করতে যেতাম। ও গপগপ করে চারটে ডিম, দশটা পাউরুটি খেত। তার পর একদিন ও ট্রেনিং নিতে অস্ট্রেলিয়া চলে গেল। আর এদিকে আমি থিয়েটার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। আজ আর কারও মধ্যে কোনও যােগাযােগ নেই।
• লাস্ট চার বছরে জীবনটা কতটা বদলে গিয়েছে?
বিশ্বাস করাে, কিছু বদলায়নি। আমি শুধু নিজের একটা গাড়ি আর বাড়ি কিনেছি। ব্যস, এইটুকু বদল।
• তার মানে বলতে চান, এখনও লােক দেখতে দেখতে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে মাটির ভাড়ে চা খাওয়া হয় ?
আলবাত খাই। এখনও রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে মাটির ভাঁড়ের চায়ে চুমুক দিই। কিন্তু হ্যা, এখন আর সব জায়গায় চা খাওয়া হয় না। তবে আমার কিছু কিছু জায়গা সেট করা আছে, যেখানে আমি চা খেতে যাই।
• আশ্চর্য, কেউ আপনাকে চিনতে পারে না?
, চিনতে পারে না। কিছু ক্ষেত্রে চিনতে পারার আগেই আমি বেরিয়ে আসি। তাছাড়া আমি অতওওও বড়াে স্টার হয়ে পারিনি যে আমাকে সবাই চিনতে পারবেন।
• এই যে আপনাকে কেউ চিনতে পারল না, আপনি চা খেয়ে বেরিয়ে এলেন— কোথাও স্টার ইমেজে খারাপ লাগে না?
, এক্কেবারেই নয়। বরং আমি চাই, তাঁরা আমাকে চিনতে না পারুক। এতে আমার ব্যক্তিগত জীবন সংরক্ষিত হয়।
• আপনার মহিলা ফ্যান ফলােয়িং এখন বিশাল। বিষয়টা কতটা এনজয় করেন ?
ফ্যানরা অভিনেতাদের কাছে বরাবরই খুব স্পেশ্যাল। তবে আমার বেশ কিছু মহিলা শিল্পী ফ্যান আছেন, তারা আমাকে স্কেচ এঁকে দেন। এছাড়া বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম গিফট বা কার্ড পাঠান। আমি সেগুলি বাড়িতে সাজিয়ে রাখি। যা সত্যি খুবই ভালাে লাগার।
• ‘বিবাহ অভিযান’-এ আপনি মালতির জন্য পাগল, কিন্তু বাস্তবে কার জন্য পাগল?
না, এখন আর ও সব পাগলামি নেই। কলেজ লাইফে ছিল সে সব। তখন প্রেম করতাম।
• বলছেন বটে প্রেম করেন না, কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে কান পাতলে শােনা যাচ্ছে আপনি নাকি সােহিনীর সঙ্গে প্রেম করছেন? আর নেক্সট ইয়ারে আপনাদের বিয়ে!
তাই নাকি? নেক্সট ইয়ারে আমার বিয়ে! আমি তাে জানি না। দেখুন, আমি আর সােহিনী খুব ভালাে এবং পুরনাে বন্ধু। আর এখন যেহেতু আমরা পর পর কাজ করছি, তাে এ সব কথা উঠছে। আসলে এমনটা নয়।
• তাহলে বলছেন বর্তমানে অনির্বাণ সিঙ্গেল ?
একদমই তাই। আপাতত আমার জীবনে কোনও প্রেম নেই।
সন্দীপ মুখোপাধ্যায় - “নাম কী? থাকো কোথায়? কোন ক্লাস অবধি... Read More
এদেশে সোনাকে স্থিতি এবং ভাগ্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।...
আমরা সবাই জানি যে ত্রিদেব বলতে ব্রহ্মাণ্ডের তিন প্রধান স্তম্ভকে...
লিপস্টিক আমার কাছে লিপস্টিক নয়। লিপস্টিক আমার কাছে প্রতীক। রং...
নাতাশা স্নান সেরে এসছে। সারাটা ঘরই এখন গন্ধস্নান করছে। একই...
পুলিশের উর্দিটা তখনও গা থেকে খুলিনি, সুসময়ী বলল, “তােমার জন্য...
শাে তখন জমে উঠেছে। শীতের সন্ধে। গায়ে ছিল হালকা জ্যাকেট।...
চা আর প্রজাপতি বিস্কুট। খাবার মধ্যে এই। কিন্তু কথা ছিল...
সকাল বেলাটা আজকাল বিজনের বেশ সমস্যার। থিতু হয়ে প্রভাত উপভােগ...
রিশপের ছবিগুলাে সব ফেসবুকে আপলােড করার পর কম্পিউটারের সামনে থেকে...
লােকে ‘ব্যোমকেশ’ নামে ডাকেন। নতুন নামকরণ হয়েছে ‘সােনা দা। এদিকে...