jamdani

অনলাইন-এ কিনবেন নাকি ‘ব্রহ্মদৈত্য’

বাংলা সংস্কৃতিতে ভূত বা বাংলা লোকসাহিত্যে ভূত একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পুরাতন এবং নতুন উভয় বাংলা রূপকথায় প্রায়ই ভূতের ধারণা ব্যবহার করা হয়। আধুনিক বাংলা সাহিত্যেও প্রায়ই ভূতের উদাহরণ পাওয়া যায়। বিশ্বাস করা হয়, ভূত হল সেই সব অশরীরি আত্মা যারা মৃত্যুর পরবর্তী জীবনে শান্তি খুঁজে পায়নি, তারাই ব্রহ্মদৈত্য নামে পরিচিত। তবে এই ‘ব্রহ্মদৈত্য’ ঠাকুমার ঝুলির কোনও গল্প নয়, আবার যে সে সাধারণ প্রেতাত্মাও নয়। জীবন ও মৃত্যুর মাঝখানে ঝুলে থাকা এক নির্মম সত্যই হল এই ‘ব্রহ্মদৈত্য’।

বাংলা সিনেমার জগতে ডার্ক ফ্যান্টাসি সঙ্গে গা ছমছমে ভৌতিক ছবির তালিকায় নতুন সংযোজন এই ছবি। অভিরূপ ঘোষের পরিচালনায় ডার্ক ফ্যান্টাসি/হরর ছবি ‘ব্রহ্মদৈত্য’। ছবির গল্পও লিখেছেন পরিচালক নিজেই। ভূতের খোঁজ করতে গিয়ে এক সাংবাদিক অনলাইনে কিনে ফেলেন এক ব্রহ্মদৈত্য। পরদিন তার বাড়ি এসে পৌঁছয় সেই অশরীরী। আর তারপরই দেখা দেয় অদ্ভুতুড়ে কাণ্ডের ঘনঘটা!

ছবির গল্পের মূল চরিত্রে সায়ন্তিকা নামের এক মহিলা সাংবাদিক। চরিত্রের দিক থেকে ইন্ট্রোভার্ট, সহজেই কারও সঙ্গে মিশতে পারেন না সায়ন্তিকা। জীবনের শুরু থেকেই যে বাবা-মা, স্কুলের বন্ধুরা এমনকী পরবর্তীতে অফিসের সহকর্মীদের কাছেও নির্মম ভাবে হেনস্থা ও পীড়নের শিকার সায়ন্তিকা। একদিন অফিসের সিনিয়রের নির্দেশে একটি অ্যাসাইনমেন্ট পায় সায়ন্তিকা, যেখানে বাংলার অতিপ্রাকৃত বা আধিদৈবিক গল্পগুলি নিয়ে চর্চা করতে হবে তাঁকে। লিখতে হবে একটি গল্প। যার ফলে একজন সদ্য যুবক বাংলার পুরনো গল্পকথা ও পুরাণের চরিত্রের সঙ্গে নিজের যোগ তৈরি করতে পারে। যেমন ব্রহ্মদৈত্য, পেত্নি, মেছো ভূত। সায়ন্তিকা এই বিষয় নিয়েই দিন-রাত এক করে ফেলে। কিন্তু আজকের প্রজন্মের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে এমন কোনও বিষয় খুঁজেই পায় না। যখন প্রায় ভেবেই ফেলেছেন যে এই কাজ তাঁর আর করা হবে না, ঠিক সেই সময়ই চমক। একটি রহস্যজনক ও অদ্ভুত ই-মেল পান সায়ন্তিকা। একটি ওয়েবসাইটের নাম পাওয়া যায় তাতে লেখা ‘বাইআঘোস্ট.কম’। অনলাইন একটি সাইট এই ‘বাইআঘোস্ট.কম’, যেখানে অতিপ্রাকৃত নানা ধরনের জিনিস কিনতে পাওয়া যায়। যেমন, কোনও মরা সাধুর কঙ্কাল কিংবা কোনও মরা মানুষের পোশাক। সেখানেই সেল চলাকালীন একটি উচ্চমানের ও পুরনো ‘ব্রহ্মদৈত্য’ কেনার খোঁজ পান তিনি। তাও আবার ডিসকাউন্টে। পুরো বিষয়টাকেই একটা মজা মনে করে, ভূতের অর্ডার দেন সায়ন্তিকা। পরের সকালেই একটি পুরনো দিনের ট্রাঙ্ক ডেলিভারি হয় তাঁর বাড়িতে।

ছবিতে মুখ্য চরিত্রে সায়নী ছাড়াও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক ক্যামিও চরিত্রে দেখা যাবে রুদ্রনীল ঘোষকেও। এঁরা ছাড়াও ছবিতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে আছেন অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, সৌমাল্য দত্ত, সৌমন বোস, সৌরভ সাহা, দত্তাত্রেয় চট্টোপাধ্যায়, মনিকা দে প্রমুখ অভিনেতা। ছবির সঙ্গীত পরিচালনা মেঘ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সিনেমাটোগ্রাফি অঙ্কিত সেনগুপ্তর ও সম্পাদনা জিষ্ণু সেনের। গত ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ছবিটি দেখা যাচ্ছে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম হইচই-তে। যা সোশ্যাল প্লাটফর্মে বেশ ভালোই রেটিং পেয়েছে।

Trending

Most Popular


Would you like to receive notifications on latest updates? No Yes